×

জাতীয়

যাত্রীর চাপে বেসামাল সদরঘাট, লঞ্চে মোটরসাইকেল তোলা নিষেধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম

যাত্রীর চাপে বেসামাল সদরঘাট, লঞ্চে মোটরসাইকেল তোলা নিষেধ

সদরঘাট। ফাইল ছবি

লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবিহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে এমন আদেশ জারি করে সংস্থাটি। বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্র্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

তবে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। রায়হান নামে বরিশালগামী এক যাত্রী জানান, ঈদের পর করোনার লকডাউনের ছুটি সামনে। তিনি ঢাকায় ফিরবেন অন্তত ২০ দিন পর। এতদিন অরক্ষিত অবস্থায় মটরসাইকেলটি কোথায় রাখবেন তিনি। এছাড়া বিষয়টি তিনি সদরঘাটে এসে মাত্র শুনেছেন। পরে অনেক অনুরোধ করে একটি লঞ্চে মোটরসাইকেল তুলতে পেরেছেন। এ জন্য কুলি ও ঘাটের লোকজনকে অতিরিক্ত ৮০০ টাকাও দিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার মুখপাত্র সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি জানান, সাধারণত প্রতি ঈদেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ঈদ প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তা সাবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এবার সেটি করা হয়নি। হঠাৎ করেই বন্ধের দিনে জানানো হল। এতে অনেক যাত্রী না জেনে মোটরসাইকেলসহ ঘাটে এসে বিপাকে পড়বেন। তিনি বলেন, প্রথম দিন এ কারণে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হচ্ছে। শনিবার থেকে কড়াকড়িভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে, ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে আজ দুপুর থেকেই বেসামাল অবস্থা হয় দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, মুলাদী, ভোলা, ইচলী, হিজলাসহ সব রুটের লঞ্চগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাঁসা। ছাদ ও ডেকে বোঝাই করে লঞ্চগুলোকে ঘাট ছাড়তে দেখা গেছে। পণ্টুন ও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি ভেস্তে যায়। অনেক যাত্রীকে মাস্কও পড়তে দেখা যায়নি এ সময়। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি সামলাতে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হয়। টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের গেটগুলো একটু পর পর বন্ধ করে যাত্রীর ঢল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, প্রতি ঈদের আগেই যাত্রীদের ভীড় হয়। কিন্তু এবার ঈদের পর দীর্ঘ লকডাউন থাকায় মানুষ গ্রামে বেশি যাচ্ছেন। এ জন্য তাদের বাড়তি প্রস্ততি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত সময় ৭০ থেকে ৮০টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের ৪৫টি রুটে যাতায়াত করে। কিন্তু ঈদের আগে ১৫০টির মতো লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ে। এছাড়া পন্টুনের সংখ্যাও এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, নৌযাত্রা নিরাপদ করতে আগামীকাল শনিবার থেকে সদরঘাট ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। সংস্থাটির পরিচালক বদরুল হাসান লিটন এ অভিযান পরিচালনা করবেন। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা, স্বা¯্য’বিধি না মানা, পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, বয়া না থাকাসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালানা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App