টেকনাফে ৩৬ রোহিঙ্গা জেলে আটক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৩:৪১ পিএম
স্থানান্তর করায় পালানোর চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের শামলাপুর ঘাট ও লামা বাজার থেকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। ছবি: ভোরের কাগজ।
স্থানান্তর করায় টেকনাফে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে শামলাপুর ঘাট ও লামার বাজার থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে ২৫ জনসহ মোট ৩৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বেশ কয়েকদিন ধরে সরকার টেকনাফের শামলাপুর ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু করেছে। এ কারণে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবকেরা পালিয়ে জেলে সেজে সাগর সৈকতে নৌকায় আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে খবর পেয়ে সেখানেই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর টহল টিম। পরে শামলাপুর ক্যাম্প-২৩ সংলগ্ন সমুদ্রতীরের লামা বাজার ও ঘাটে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে শামলাপুর উত্তর ঘাট ও দক্ষিণ ঘাট হতে সরকারি আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়া বহিরাগত ও শামলাপুর ক্যাম্পের ১১ (এগার) জন রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করা হয়।
এর আগেও গত ১১ জুলাই রবিবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ২ জন বহিরাগত রোহিঙ্গা ও শামলাপুর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, পূর্বের নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে সাগরে না যাওয়ার জন্য বলা হয়। উক্ত দুই ঘাটে সভাপতি ও সেক্রেটারিদেরকে নৌকায় না নেওয়ার জন্য বলা হয়, যদি তারা উক্ত নির্দেশনা না মেনে চলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমন নির্দেশনা দেওয়ার পরও তা মানছেনা।
মূলত শামলাপুর কেন্দ্রিক বোট মালিকরা সাগরে জেলে হিসেবে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। এখন সেসব রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তর করায় এরা মাছ ধরার জেলে সংকটে পড়তে পারে। তবে অনেকে রোহিঙ্গাদের পালাতে বা অন্য ভাবে আশ্রয় দিচ্ছে এমন কথাও শুনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে শামলাপুর ক্যাম্প-২৩ হতে ২১টি রোহিঙ্গা পরিবারের ৯৯ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ক্যাম্প-১৯ ও ২০ স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গত ১০, ১১ ও ১৩ জুলাই তিনদিনে ৮০ পরিবারের ৩৭২ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। শামলাপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের অফিসার ও সদস্যরা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে এক জায়গায় সমবেত করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি ক্যাম্প ছেড়ে পালানো রোহিঙ্গাদেরও আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।