জার্মানিতে আকস্মিক বন্যা, ১২০ জনের মৃত্যু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০১:৪৪ পিএম
জার্মানিতে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেছেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি আগামী দিনে আমরা বিপর্যয়ের পুরো মাত্রা দেখতে পাবো।’
[caption id="attachment_297059" align="aligncenter" width="780"] ছবি: সিএনএন[/caption]দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বাসিন্দারা নিখোঁজ রয়েছে। লোকরা ধ্বংস ও হতাশায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। শীর্ষ ‘দৈনিক বিল্ড’ এই পরিস্থিতিকে ‘মৃত্যুর বন্যা’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রতিবেশী বেলজিয়ামে বন্যায় কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডেও আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার লোককে মাস্ট্রিখট শহরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া এবং রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট রাজ্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাজ্যে বিপুল সংখ্যক লোক নিখোঁজ থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেটের আহরওয়েলার জেলায় প্রায় ১,৩০০ লোক নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় কতৃপক্ষ বলেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নেটওয়ার্ক ঠিক হলে নিখোঁজ লোকদের এই সংখ্যা কমে আসবে।
আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রজার লেওয়েন্টজ এসডব্লিউআর রেডিওকে বলেছেন,‘আমরা বিশ্বাস করি এখনও ৪০, ৫০ বা ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে যখন খোঁজ পাওয়া যায় না তখন পরিস্থিতি ভীতিকর হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, আগামী দিনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শুধু তাই নয়, পশ্চিমের কিছু অংশে ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেখানে রাইন নদী এবং উপনদীগুলোতে পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে।
[caption id="attachment_297060" align="aligncenter" width="780"] ছবি: সিএনএন[/caption]ক্ষতিগ্রস্ত শহর ও গ্রামগুলোতে উদ্ধার কাজ চলছে এবং ধ্বংসস্তুপ পরিস্কারে সহায়তার জন্য ১ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রাস্তা, বাড়ি ঘর পানির নিচে, পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া গাড়ি উল্টে পড়ে আছে। সর্বত্র গাছ উপড়ে পড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে তীব্র বেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আহরওয়েলাতে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। দেখলে মনে হবে শহরটি সুনামির কবলে পড়েছে।
উত্তরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর ইউস্কিচেনে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।