‘মহামারীতে ম্লান’ দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের টিকাদান অগ্রগতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২১, ১১:০০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপে দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের অন্যান্য রোগের টিকা দেওয়ার হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে।
ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফ বলছে, মহামারীর প্রথম বছর ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, পারটুসিস, হাম বা পোলিওর মত রোগের টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে টিকাদান কমেছে ৬ শতাংশ পয়েন্ট বলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এ দুই সংস্থার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।
গতবছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৫৩ লাখের বেশি শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ টিকা থেকে বাদ পড়েছে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ১৯ লাখ বেশি।
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লরিয়া-অ্যাডজেই বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে শিশুদের টিকাদানে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করা একটি অঞ্চলকে কোভিড -১৯ এর কারণে এভাবে উল্টোরথে চলতে দেখা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
১৯৮০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ডিপথেরিয়া-টিটেনাস-পারটুসিস (ডিটিপি থ্রি) টিকার তিনটি ডোজ পাওয়া শিশুর হার ছিল ৬ শতাংশ, যা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১৯ সালে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে তা এক ধাক্কায় ৮৪ শতাংশে নেমে গেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
জর্জ লরিয়া বলেন, মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে, এমন ভ্যাকসিনের একটি ডোজও পাচ্ছে না এ অঞ্চলের প্রায় ৪৪ লাখ শিশু। সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ, যা দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের জন্য একটি ‘বিশাল ধাক্কা’।
বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই শিশুদের টিকা দেওয়ার হার কমেছে। নেপালে ডিটিপি থ্রি টিকা দেওয়ার হার ৯ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে; পাকিস্তানে কমেছে ৭ শতাংশ পয়েন্ট; ভারতে কমেছে ৬ শতাংশ পয়েন্ট।
এছাড়া শ্রীলঙ্কায় ৩ শতাংশ পয়েন্ট এবং ভুটান ও আফগানিস্তানে টিকা দেওয়ার হার ২ শতাংশ পয়েন্ট করে কমেছে জানিয়ে বলা হয়, বছরের শেষ দিকে জোরালো চেষ্টায় অনেক দেশে টিকাদানের এই নিম্নমুখী হার কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছে।