তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শুক্রবার (১৬ জুলাই) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার ওয়ানডে দল ঘোষণার কথা থাকলেও ম্যাচের ১৬ ঘণ্টা আগেও স্কোয়াড প্রকাশ করেনি স্বাগতিকরা। অবশেষে বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন ব্রেন্ডন টেইলর। বড় বড় তারকাদের মধ্যে আছেন সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল, র‌্যাগিস চাকাবা ও ডোনাল্ড তিরিপানো। দেরি করে দল ঘোষণা করায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথাও বলতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি আঙুল তুলেছেন করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গের প্রতিও। ওয়ানডে খেলবেন জিম্বাবুয়ের এমন অনেকেই নাকি হোটেল কোয়ারেন্টাইন করেননি। রোডেশীয়দের এমন টালবাহানা, মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতি ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনিশ্চয়তার মধ্যেও সিরিজ জেতার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন টাইগার দলপতি।

একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে। শুক্রবার শুরু ওয়ানডের লড়াই। হারারেতে দুদলের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুপুর দেড়টায়। ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে মুশফিক পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে এসেছেন। মোস্তাফিজ জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছেন। তাই শুক্রবারের ম্যাচে কাটার মাস্টারের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। জিম্বাবুয়ে তো নির্ধারিত সময়ে দলই প্রকাশ করেনি। সার্বিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার তামিম কথা বলেছেন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশের দল কেমন হবে, কেমন পরিকল্পনাই বা থাকবে টাইগারদের মাথায় এসব প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমরা কাদের বিপক্ষে খেলব তা তো জানিই না। আমি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না। কারণ আমি তো জানিই না কাদের বিপক্ষে খেলব। প্রথম বল হওয়ার ২৪ ঘণ্টাও নেই, অথচ এখনো আমরা দলই জানতে পারিনি।’ ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামসের ব্যাপারেও কিছু জানেন না তামিম। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাদের খেলার অংশগ্রহণ নিয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই। আমি যতটুকু জানি যে কোনো খেলোয়াড়কে খেলতে হলে আমরা যে হোটেলে আছি সেখানে ১০ দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। আমি এখন পর্যন্ত তাদের দেখিনি। এটা আসলে আমাদের দিক থেকে কোভিড প্রোটোকল যারা মেইন্টেন করে, তারা ভালো বলতে পারবে।’

মুশফিক নেই, ফিজ শঙ্কাযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমরা সবসময় পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে পারি এমন নয়। আর আমাদের পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। মুশফিকের পরিস্থিতি দেখুন বা মোস্তাফিজের চোটএগুলো কারোরই নিয়ন্ত্রণে নেই। কারো না কারো ইনজুরি বা সমস্যা থাকতে পারে, সেটা জেনে বুঝেই তো ১৬-১৭ জন রাখা হয় স্কোয়াডে। যারা স্কোয়াডে আছে সবাই যোগ্য।’

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে এটি হবে ৭৬তম ওয়ানডে। দুদল এর আগে ৭৫টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে জয়ের পাল্লা ভারী টাইগারদের দিকেই। রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা জিতেছে ৪৭ ম্যাচে, জিম্বাবুয়ের জয় ২৮ ম্যাচে। দুদলের এ লড়াইয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা নজর রাখতে পারেন তামিম ইকবাল, ব্রেন্ডন টেইলর ও সাকিব আল হাসানের দিকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪১ ওয়ানডেতে তামিমের সংগ্রহ এক হাজার ৬৮৪ রান। অন্যদিকে ৫৩ ম্যাচে টেইলর বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন এক হাজার ৪১০ রান। সাকিবের ৪৫ ম্যাচে রান এক হাজার ৪০৪। বোলিংয়ে সাকিব সবার থেকে এগিয়ে। তার শিকার ৭৪ উইকেট।

জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড: ব্রেন্ডন টেইলর (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, র‌্যাগিস চাকাভা, চাতারা তেন্ডাই, লুক জংউই, তিনাশে, ওয়েসলে মাধেভেরে, মারুমা টিমিসেন, মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিওন মেয়ার্স, রিচার্ড এনগারাভা, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।