×

সারাদেশ

নরসিংদীর সাকুরা মোড় যেন মৃত্যুফাঁদ, এক বছরে নিহত অর্ধশতাধিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২১, ০৬:১৪ পিএম

নরসিংদীর সাকুরা মোড় যেন মৃত্যুফাঁদ, এক বছরে নিহত অর্ধশতাধিক

যাত্রী ও পথচারীদের কাছে ভয়ের ও আতঙ্কের আরেক নাম এই সাকুরামোড়। ছবি: ভোরের কাগজ

নরসিংদীতে দুই লেনের পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল টঙ্গী সড়ক। এই সড়কে পাঁচদোনা থেকে সাকুরা মোড়ের বিপজ্জনক বাঁক হয়ে যাওয়া যায় ঘোড়াশাল টঙ্গী। অপর দিকে চরসিন্দুর থেকে সাকুরামোড়ের লিং রোড মিলিত হয়ে যাওয়া যায় পাঁচদোনা।

ব্যস্ততম সাকুরার মোড় থেকে পাঁচদোনা দুই কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের মতই গাড়ির চাপ থাকে। সড়কটির দুই পাশে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকায় ছোটো-বড়, বৈধ-অবৈধ সব পরিবহনই চলে এখানে। এ সড়কে যাত্রী ও পথচারীদের কাছে ভয়ের ও আতঙ্কের আরেক নাম সাকুরামোড়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটিতে রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, যাএী চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড না থাকায় প্রায়ই ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এতে অনেকে নিহত হচ্ছেন, আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। আহত ব্যক্তিরা বয়ে বেড়াচ্ছেন দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি। একাধিক যাত্রী জানান, এ সড়কে চলাচলের সময় আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সবসময় আতঙ্কে থাকি কখন কি হয়ে যায়।

গত এক বছরে এ সড়কে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। যদিও পুলিশের কাছে দশজন নিহত হয়েছে বলে রেকর্ড রয়েছে। বাকি হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পুলিশের কাছে নেই। সর্বশেষ গত ১৯ জুন শনিবার রাতে সাকুরামোড়ের বিপজ্জনক বাঁকে ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার আগে সাকুরামোড়ের লিং রোড অংশে মাইক্রোবাস সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালকসহ ৫জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে এখানে প্রায় সময়ই পথচারী ও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকরা নিহত হচ্ছেন। সাকুরামোড়োর বিপজ্জনক বাঁক ও লিং রোডের মুখ যেন একটি মরণফাঁদ।

এ বিষয়ে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাকুরা মোড়ে অবস্থিত চায়না বাংলা সিরামিক্স ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, চালকদের অসাবধানতা ও দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার চোখের সামনে কেউ নিহত হোক আমি চাইনা।

দূর্ঘটনা রোধে সাকুরামোড়ের বিপজ্জনক বাঁক থেকে পাঁচদোনা পর্যন্ত রোড ডিভাইডার কিংবা সাকুরামোড়োর দুই অংশে ও লিং রোডের মাথায় স্পিড ব্রেকার নিমার্ণ করলে এসব দূর্ঘটনা কমবে। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারিভাবে কিংবা আমার পক্ষে কোন সহযোগিতা লাগলে আমি করব ।

নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, দ্রুতগতি ও তড়িঘড়ি করে ওভারটেক করার জন্য এখানে সবচেয়ে বেশি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দূর্ঘটনার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চালকের অদক্ষতা ও প্রতিযোগিতা। অতি শীগ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App