×

পুরনো খবর

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ০৮:০০ পিএম

আজ বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষার সূতিকাগার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর পথ যাত্রা ২১ বছরের হলেও কৃষি শিক্ষায় এর অবদান দীর্ঘ ৮৩ বছরের।

যখন বৃটিশরা এদেশের কৃষি এবং কৃষককে নিজেদের সুনির্দিষ্ট এবং সুবিধাভোগী পথে পরিচালিত করায় মগ্ন। প্রায়শই এই ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা দিত দুর্ভিক্ষ। তখন তাই অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ‘দি বেঙ্গল কৃষি ইনস্টিটিউট'। এই নামেই শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের কৃষি শিক্ষা কার্যক্রম। ইংল্যান্ডের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি কারিকুলাম অনুসরণপূর্বক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদ হিসেবে ১৯৪১ সালে ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জন মুসলমান ও ১০ জন হিন্দু ছাত্র নিয়ে বি.এসসি.এজি কোর্স শুরু হয় এবং এরাই দক্ষিন এশিয়াসহ এদেশের প্রথম কৃষিবিদ ছিলেন। এদেশে বৃটিশ শাসনের পতন ঘটলে এর নামকরণ করা হয় ইস্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটি বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট (বিএআই) নামকরন করা হয়।

২০০১ সালের ৬ জানুয়ারি উক্ত প্রতিষ্ঠানের (বিএআই) হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তৎকালীন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা এ প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন এবং ৯ জুলাই ২০০১ সালে মহান জতীয় সংসদে 'শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন' পাস করেন এবং এর ঠিক ৬ দিন পর ১৫ জুলাই তিনি নিজ হাতে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শুধুমাত্র একটি অনুষদ (কৃষি) নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে বর্তমানে  বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৪ টি অনুষদ ও ৩৫ টি  বিভাগে পাঠদান ও গবেষনায়  ৩২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৪৭৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। এছাড়াও ২৭৩ জন কর্মকর্তা ও ৩৮৮ জন কর্মচারী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা ২১ বছরে পদার্পণ করলেও এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সুদীর্ঘ ৮৩ বছরের। এখান থেকেই এদেশের কৃষি শিক্ষার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কৃষিবিদরা দেশের সরকারি বেসরকারি কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রয়োজন ও আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সকল কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্রের অবকাঠামো ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের অকল্পনীয় শ্রম। এছাড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনিতেও অবদান রাখছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তিনি ভবিষ্যত বাংলাদেশের উচ্চতর কৃষি  শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে দেশের কৃষি উন্নয়নের গুরু দায়িত্ব পালন করবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়র কৃষিবিদ এবং কৃষিবিজ্ঞানীরা এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, করোনায় দেশ একটি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এমতবস্থায় যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল ৯ ঘটিকায় একাডেমিক ভবনের স্বাধীনতা চত্ত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং এরপর প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এর মাধ্যমেই  সংক্ষেপে এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  পালনের কর্মসূচি সম্পন্ন  হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App