×

সারাদেশ

মাধবপুরে গরুর খামারে সফলতা, ঈদে লাভবান হওয়ার আশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ০২:১৩ পিএম

মাধবপুরে গরুর খামারে সফলতা, ঈদে লাভবান হওয়ার আশা

মাধবপুরে নাভা এগ্রো ফার্ম। ফাইল ছবি।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে গরু মোটাতাজাকরণ খামার করে সফলতা পেয়েছেন শফিউল বর খোকন। উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের নিজনগর গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন সরকারি চাকরিজীবী। কিন্তু ছোট থেকেই শখ ছিল গরুর খামার করার। নাভা এগ্রো ফার্ম নামে একটি গরু মোটাতাজাকরণ খামার করে পেয়েছেন সফলতা। শখের বসে গরু মোটাতাজাকরণ খামার করলেও এখন তিনি ওই এলাকার একজন সফল খামারী।

যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নিয়ে খামার করার আগ্রহ সৃষ্টি হয় খোকনের। প্রতি বছর ঈদের সময় গরু বিক্রি করে ৮/১০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

খামারের মালিক শফিউল বর খোকন জানান, যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নিয়ে খামার করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫টা গরু কিনে খামার বড় করার চেষ্টা করি। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করি। আশাকরি এবার বাজার ভালো হলে এক কোটি টাকা বিক্রি করতে পারব।

খামারের শ্রমিক আবু বক্কর জানান, নাভা এগ্রো ফার্মে কাজ করি ৪ জন। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাইরে পালন করা হত। বিগত ৬ মাস যাবত শেটের ভিতর গরু গুলো উঠানো হয়। এখানে আমরা গরু গুলো লালন পালন করি।

এই খামারের মালিক খোকন সাহেব। তিনি এখানে থাকেন না তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোষ্ট অফিসে চাকরি করেন। তিনি প্রতি মাসে একবার আসেন এখানে। আমরা ৩ -৪ জন আছি দেখা শুনা করি। গরুর খাবার ঘাস, বন আমরা খাওয়াচ্ছি। খামারে ৬০টি গরু আছে সবগুলো কোরবানির জন্য রেডি করা হয়েছে।

চৌমুহনী ইউনিয়ন কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের এ আইটি  নাজমুল হাসান জানান, নাভা এগ্রো বহুমুখি ফার্মের এই খামার টি আমি সব সময় দেখাশুনা করি। এই খামারের মালিক সরকারি চাকরি করেন। তাই তিনি সব সময় আসতে পারেন না। মাসে এক দুই বার আসেন। খামারটি তার শখের বসে করা। অনেক দিন থেকে গরু পালনে তার একটি আগ্রহ ছিল।

তিনি আরও বলেন, গরুর তাৎক্ষণিক যে চিকিৎসা সার্বিক সহযোগীতা আমি করি। এখানে সাধারণত ক্যামিকেল ছাড়া প্রাকৃতিক ঘাস, বন দিয়ে গরু লালন-পালন করা হয়। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষ্যে এই শেডটা খোলা হয়েছে। গরু গুলো কে মোটাতাজাকরণে কোন ইনজেকশন করা হয় না। এই খামারে ৬০টি গরু আছে। সবগুলো ষাড় গরু। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হবে বলে আমরা আশা করি।

মাধবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিলন মিয়া জানান, নাভা এগ্রো বহুমুখি ফার্মের সফল উদ্যোক্তা শফিউল বর খোকন। প্রাণীসম্পদ অফিসে এসে নতুন করে খামার করার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন। পরে আমরা গরু মোটাতাজাকরণের পরামর্শ দেই। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী উনি কাজ শুরু করেন। এখন উনার ফার্মে বিভিন্ন প্রজাতির ৬০টি গরু রয়েছে। সবগুলো কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গরুর হাট বসছে না। সেজন্য অনলাইন প্লাটফর্মে অনলাইন পশুর হাট মাধবপুর নামে আমরা একটি পেইজ চালু করেছি। মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের কর্মীরা খামারী ভাইদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে, এখনেই ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়েছে। সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী যদি ফিজিক্যালি গরুর হাট চালু হয় তাহলে আমরা সেদিকে মনিটর করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App