বাড়িতে গিয়ে স্বজনকে চিকিৎসা না দেওয়ায় হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। সে সুলতানপুরের আকিল মিয়ার ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান ও তার বড় ভাই সালেক মিয়া আজ সকালে অসুস্থ স্বজনকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তারকে বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতালে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জরুরি বিভাগ ছেড়ে যেতে পারবেন না বলে জানান।

[caption id="attachment_296436" align="aligncenter" width="700"] সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসক লাঞ্চিত হওেয়ার চিত্র। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া।[/caption]

পরে মিজানুর রহমান ও তার ভাই সালেক মিয়া ডাক্তারের উপর চড়াও হয়। এসময় মিজানুর রহমান ডাক্তারকে চর, থাপ্পর দেয়। এছাড়াও গেল বছরের ৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নার্সকে ছুরিকাঘাত করে মিজানুর রহমান।

সুনামগঞ্জ বিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাস বললেন, চিকিৎসকরা এই করোনা পরিস্থিতির মাঝে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকালে যে ঘটনা ঘটল তা নিন্দনীয়। এই ঘটনার মূল হোতা মিজানুর রহমান ও তার ভাই সালেক মিয়ার বিচার দাবি করেন তিনি।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এজাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিছুর রহমান বললেন, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এসময় পুলিশের কাছে হাসপাতালের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি।