×

জাতীয়

রূপগঞ্জ ট্রাজেডি: ৪৮ লাশের পুরুষ ১৭ জন, নারী ৩১

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৯:০৬ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজিব গ্রুপের হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়ংকর অগ্নিকান্ডে পুড়ে কয়লা হওয়া ৪৮ লাশের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৩১ জন নারী। এদের মধ্যে কারো লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এজন্য পরিচয় নিশ্চিত হতে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত ৪৫ লাশের বিপরীতে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহের পর সোমবার সিআইডি কার্যালয়ে আরো ৩টি লাশের জন্য ৫ জন নমুনা দিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সোমবার (১২ জুলাই) লাশগুলো থেকে ডিএনএ স্যাম্পল গ্রহণের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গের সামনে থেকে নমুনা সংগ্রহের বুথ উঠিয়ে নেয়া হয়। তখন পর্যন্ত ৪৫টি লাশের বিপরীতে ৬৩ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। নতুন কেউ নমুনা দিতে চাইলে সিআইডি কার্যালয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছিলো। সোমবার আরও ৩টি লাশের জন্য ৫ জন নমুনা দিয়েছেন। তারা হলেন, নীলফামারির কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা নিহত মো. স্বপন মিয়ার (২৩) বাবা মনকার হোসেন ও তার ভাই মো. মশিউর রহমান, বগুড়া সারিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা নিহত মোছা. নাজমা খাতুনের বাবা নয়ন মিয়া, মা কল্পনা বেগম ও স্বামী মো. তহিদুল ইসলাম এবং বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের বাসিন্দা নিহত মো. নোমানের বাবা আবদুল মান্নান মাতব্বুর। এ নিয়ে ৪৮ লাশের বিপরীতে সোমবার পর্যন্ত মোট ৬৮ দাবিদারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হলো।

সূত্র আরো জানায়, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের ৪৮ লাশের মধ্যে কিশোরগঞ্জের ১৮ জন, ভোলার ৫ জন, নোয়াখালীর ৪ জন, নেত্রকোনার ৩ জন, নারায়নগঞ্জের ২ জন, হবিগঞ্জের ৩ জন, গাইবান্ধার ২ জন, মৌলভী বাজারের একজন, গাজীপুরের একজন, রাজশাহীর একজন, নরসিংদীর একজন, পাবনার একজন, দিনাজপুরের একজন, জামালপুরের একজন, ঢাকার একজন, নীলফামারীর একজন, বগুড়ার একজন ও বরিশালের একজন। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার ভোরের কাগজকে বলেন, সোমবার পর্যন্ত ৪৮ লাশের বিপরীতে ৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন আর কেউ নমুনা দিতে চাইলে সেটিও নেয়া হবে। এজন্য কষ্ট করে সিআইডি কার্যালয়ে এসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনার প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ৯ জুলাই সকালে ওই ভবনের চারতলা থেকে ৪৯ জনের অঙ্গার হওয়া লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস। সে হিসেবে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। কিন্তু লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর সিআইডি জানায়, ৪৯ নয় ঢামেক মর্গে ৪৮টি লাশ ছিলো। সে হিসেবে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ জন। তবে, কোনো লাশবহনকারী ব্যাগে দুইটি লাশ থাকলে সেটি নমুনা পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App