×

আন্তর্জাতিক

কতবার কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছি, কৈশোরের প্রেম নিয়ে তসলিমা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০২:৪২ পিএম

কতবার কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছি, কৈশোরের প্রেম নিয়ে তসলিমা

তসলিমা নাসরিন

বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নসরিন। বিতর্ক যেন তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। তবুই ঠোঁটকাটা হিসেবেই পরিচিত তিনি। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। তাঁকে নিয়ে চারিদিকে চলছে চর্চা। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ‘ট্র্যাজিডি কিং’এর ছবি দেখানো হচ্ছে। দিলীপ কুমারেরই সম্মানে তাঁর একটি  ছবি বহুবার দেখেছেন লেখিকা। সে কথা নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি।

তসলিমা নাসরিনের কথায়, 'দেবদাস' দেখে নিজের ছোটবেলার সঙ্গে জড়াতে পেরেছেন তিনি। অনুভূতির কথা ভাগ করেছেন ফেসবুক পোস্টে। লেখেন, ‘দিলীপ কুমারের সম্মানে তাঁর একটি ছবি দেখার ইচ্ছে হলো, কোনটা দেখবো কোনটা দেখবো ভাবতে ভাবতেই স্থির করলাম দেবদাস দেখবো। দেখা- ছবিই আবার দেখবো, যেমন পড়া- বই আবার পড়তাম।’

নিজের কিশোরী বেলার স্মৃতির কথা ভাগ করে তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘দেবদাস শব্দটি উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই আমি চলে যাই আমার বারো তেরো বছর বয়সে। কতবার যে তখন দেবদাস পড়েছি, কতবার যে পড়তে পড়তে সারারাত পার করেছি, কতবার যে কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছি, তার সংখ্যা আমার জানা নেই।’

পাশাপাশি আরো বলেন, ছোট থেকে বই পড়ার নেশা ছিল তাঁর। ‘আমার দাদা প্রায়ই আমাকে বই উপহার দিত। শরৎ রচনাবলী, রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ, ছিন্নপত্র, শেষের কবিতা, চোখের বালি, নজরুলের সঞ্চিতা, রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, বঙ্কিম রচনাবলী, শরদিন্দু অমনিবাস, পথের পাঁচালি-- এসব আমি ইস্কুল জীবনেই পড়ে শেষ করেছি। ইস্কুলের লাইব্রেরির বইগুলোও গোগ্রাসে পড়েছি। তখন যে বই-ই পেতাম, পড়তাম। নীহাররঞ্জন গুপ্ত, ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়, দস্যু বনহুর- কিছুই ছাড়িনি’।

লেখিকা লিখেছেন, ‘দেবদাস ছবিটি যারা দেখেছে, যারা বইটি পড়েনি, তাঁদের জন্য আমি গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। কৈশোরে বা কৈশোরোত্তীর্ণ বয়সে যারা রাতে দেবদাস পড়ে কেঁদে বুক ভাসায়নি, তারা কী বুঝবে দেবদাসের! এখন না হয় দেবদাসকে মনে হয় "চিক ফ্লিক"। কিন্তু তখন?’ এরপরই নানা মন্তব্য উপচে পড়ছে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App