×

জাতীয়

রূপগঞ্জের ঘটনায় অবহেলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১, ০৩:০৯ পিএম

নারায়গঞ্জের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫২জন শ্রমিকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত ও অজানা সংখ্যক শ্রমিক নিখোঁজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। একই সাথে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব অবহেলাকারিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জানিয়েছে দলটির পোলিটব্যুরো।

আজ রবিবার (১১ জুলাই) দলের সভাপতি এমপি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর ভার্চুয়াল সভায় এই প্রস্তাব গ্রহন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরূল আহসান, এনামুল হক এমরান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, হাজী বশিরুল আলম, নজরুল ইসলাম হাক্কানী প্রমুখ।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক এমপি ফজলে হোসেন বাদশার উপস্থাপনায় ‘সজিব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায়’ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শ্রমিকের মৃত্যু, করোনা অতিমারি পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া বিজ্ঞাপন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় পলিটব্যুরোর সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, অবস্থাদৃষ্টে এটা প্রতিয়মান যে এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকান্ড। নিরাপদ কর্ম পরিবেশের অভাবে দেশে প্রায়শ দুর্ঘটনায় নিপতিত হয়ে শ্রমিকের প্রাণ সংহার হচ্ছে। শোভন ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রথমত মালিক কর্তৃপক্ষের এবং তা নিশ্চিত করার তদারকির দায়িত্ব সরকারি পরিদর্শন কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে উভয়ই চরম গাফিলতি দেখিয়েছে যা ক্ষমার অযোগ্য ও চরম অপরাধ।

সভার প্রস্তাবে সেজান জুস কারখানার শ্রমিক হত্যাকান্ডে দায়ি সকলকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। সভায় নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজে বেরকরা, কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ, নিহত-আহত শ্রমিকদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন-১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমান ক্ষতি পুরণ দেয়া, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহবান জানানো হয়।

সভার আরেক প্রস্তাবে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘আকুল আবেদন’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রদত্ত বিজ্ঞাপনকে অসংতিপূর্ণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের অযোগ্যতা আড়াল করা, ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং জনগণকে বেকুব মনে করার ইঙ্গিত পূর্ণ ও অশোভন আখ্যায়িত করে বলা হয়, কথিত বিজ্ঞাপনে করোনা টিকার মূল্য প্রতি ডোজ তিন হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে যা অসত্য, মাস্ক ক্রয় বিষয়েও ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। অন্যদিকে করোনা রোগী পিছু দু'লক্ষ টাকা ব্যয়ের কাল্পনিক হিসাব উপস্থাপন করা হয়েছে যা মিথ্যার বেসাতি ছাড়া কিছু নয়। কথিত বিজ্ঞপনটি স্বাস্থ্য খাতের দূরবস্থা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আড়াল করার অপচেষ্টা মাত্র। বিজ্ঞাপনটি প্রকারন্তে স্বাস্থ্য খাতের দূরবস্থা, অনিয়ম নিয়ে ব্যক্তি ও বিরোধী দলের কথা বলা বন্ধ করার অপঃপ্রয়াশ মাত্র।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App