ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় আবারও নোবেলজয়ী আবি আহমেদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১, ১১:৪৩ এএম
নোবেলজয়ী আবি আহমেদ।
ইথিওপিয়ার জাতীয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আবি আহমেদ। আরও ৫ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এ রাষ্ট্রনেতা। নির্বাচন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪৩৬ আসনের মধ্যে ৪১০টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন প্রসপারিটি পার্টি। শনিবার (১১ জুলাই) ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির জাতীয় নির্বাচন বোর্ড। খবর বিবিসির।
তবে নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে দেশটির এক পঞ্চমাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। যুদ্ধ-সংঘাতে বিপর্যস্ত টাইগ্রে অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। সেখানে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আলাদাভাবে নির্বাচন করার কথা থাকলেও টাইগ্রেতে নির্বাচনের কোনও তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
এদিকে, দেশটিতে আরও আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে হয়েছিল। নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পাওয়ার পর এক টুইটবার্তায় নোবেল জয়ী আবি আহমেদ এই নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক নির্বাচন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আগামী অক্টোবরে নতুন সরকার গঠনের কথা রয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে যে, তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযানের কারণে তাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে গেছে।
এদিকে ইথিওপিয়ান মানবাধিকার কমিশন (ইএইচআরসি) জানায়, কোন গুরুতর বা ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইএইচআরসি বলেছে, কিছু আসনে অনুপযুক্ত গ্রেপ্তার, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন এবং পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন আবি আহমেদ। আর ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে এক যুগান্তকারী শান্তি চুক্তি করে এই সম্মানে ভূষিত হন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
কিন্তু এর মাত্র এক বছর পরে তিনি তার নিজের দেশে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেন। উত্তর টিগ্রে প্রদেশে সৈন্য মোতায়েন করেন। এই অঞ্চলের ক্ষমতাসীন দল টিপিএলএফকে উৎখাত করেন।
টিগ্রেতে এই সংঘর্ষের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং ব্যাপক ক্ষুধা এবং এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি টিগ্রেতে সহায়তা সরানো শুরু করে। সংঘর্ষের বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চালান বন্ধ করার অভিযোগ করে এসেছে।
জাতিসংঘ শুক্রবার বলেছে যে জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ সহ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার অনুপস্থিতির কারণে মানবিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হচ্ছে।