×

জাতীয়

ভ্যাকসিন সংগ্রহের আদ্যপান্ত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ০৮:২৯ পিএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে কোন দেশ থেকে কিভাবে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছে সরকার তার আদ্যপান্ত জানালেন। ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ওই লাইভে অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে সব দেশে করোনা অতিমহামারি হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সেসব দেশ মোটামুটিভাবে করোনার সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ (কন্ট্রোল) করেছে। এক্ষেত্রে ইউরোপে বলেন আর আমেরিকাই বলেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আমরা পেয়েওছিলাম। আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই ভ্যাকসিন দেয়া চালু করেছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছি। আমরা ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতে দুর্যোগ হওয়ায় তারা ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। আমরা তখন বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন, এখন এসে মোটামুটিভাবে আমরা ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ লাখ ভ্যাকসিন এনেছি। এরমধ্যে আমেরিকা ২৫ লাখ দিয়েছে, চীনের কাছ থেকে পয়সা দিয়ে ২০ লাখ কিনেছি। আগামী ৩ মাসের মধ্যে চীনের কাছ থেকে আরো ভ্যাকসিন পাওয়ার চুক্তি করেছি। সবমিলিয়ে আমরা ভ্যাকসিন পাব।

তাছাড়া অন্যান্য দেশ থেকেও ভ্যাকসিন পাব। এরমধ্যে ইউরোপ থেকে পাব অ্যাস্ত্রেজেনিকার ১০ লাখ। এই চালান আসলে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। আমার সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনিও বলেছেন দেবেন। কত দেবেন তা বলেননি। আমি আশাকরি ২৫ লাখের নিচে না। আরো বেশি পাব। এছাড়া অস্ত্রেলিয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে। আশাকরছি তারাও ভ্যাকসিন দেবে। জাপান বা আমেরিকা কিংবা ইউরোপ থেকে যে ভ্যাকিসন আসবে তার জন্য ক্যাশ টাকা দিতে হবে না। কোভ্যাক্সে মাধ্যমে আসবে। কিন্তু চায়না থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতেছি। চায়না আমাদেরকে ১১ লাখ ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় দিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গেও ভ্যাকিসনের চুক্তিটা প্রায় চূড়ান্ত করেছি। এছাড়াও আমরা যেটা করতেছি চায়না এবং রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই যৌথভাবে দেশে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছি। দোয়া করেন তাতে যেন সফল হই। দেশে উৎপাদন করলে আমরা স্থানীয়ভাবেই ভ্যকসিন উৎপাদন করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের ৮০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দেবেন। তাতে দুই ডোজ করে দিতে হলে প্রায় ২৬ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হলে বিষয়টি সহজ হবে।

তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। দুরত্ব মেনে চলতে হবে। এগুলো না করলে কিন্তু ভ্যাকসিনেও কাজ হবে না। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। রোগটাকে দূরে রাখবেন। লাইভের শেষের দিকে এসে মন্ত্রী সিলেটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সিলেট এলাকার লোকেরা স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। এরফলে ওখানে আক্রান্তের হারও বেশি। আজকে (শনিবার) শুনেছি সিলেট এলাকায় আক্রান্তের ৪৮ ভাগ বেড়েছে। এই হার সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এটা দুঃখজনক। আমি সিলেটবাসীকে অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, নতুবা যথেষ্ট বিপদ আছে। আমরা সরকারিভাবে হাসপাতাল প্রস্তুত করছি। অক্সিজেন সংগ্রহ করছি। কিন্তু অনেক লোক আক্রান্ত হলে কোনো কিছুতেই সম্ভব হবে না। কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।

 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App