×

খেলা

ভোরে মেসি-নেইমারের প্রথম শিরোপার লড়াই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ১০:০২ পিএম

ভোরে মেসি-নেইমারের প্রথম শিরোপার লড়াই

মেসি-নেইমার

রাকানা স্টেডিয়ামে আগামীকাল রবিবার ভোরে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় রিও ডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। ব্রাজিল আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ও দশম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা খেলতে নামবে ১৫তম শিরোপার লক্ষ্যে। তারা যদি এই শিরোপা জয় করে তবে উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কোপায় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়তে পারবে। আজকের ফাইনালটি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির জন্য প্রথম শিরোপার সুযোগ। অন্যদিকে ব্রাজিলের নেইমারের জন্যও প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এ ফাইনালের মাধ্যমে ১১ বার কোপার ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে। আগের দশবারের মধ্যে আটবারই শিরোপা জয় করেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ব্রাজিল করেছে দুবার। সর্বশেষ ২০০৪ ও ২০০৭ সালে দুদল ফাইনালে খেলে। সে দুবারই শিরোপা জেতে সেলেসাওরা। দুদলের মধ্যে এটি হবে ১১২তম ম্যাচ। আগের ১১১ ম্যাচে ব্রাজিল ৪৬টি ম্যাচে, আর্জেন্টিনা ৪০টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। বাকি ম্যাচগুলো ড্র হয়।

এদিকে এই ফাইনালের মাধ্যমে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দুই বন্ধু লিওনেল মেসি ও নেইমার। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সায় একসঙ্গে খেলার সুবাদে তাদের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মেসি নেইমারকে এতটাই ভালোবাসেন যে তিনি পিএসজি থেকে তাকে আবার ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন বার্সা। আবার নেইমারও সুযোগ হলেই মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। মানে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বটা বেশ গভীর।

তবে কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগে বন্ধুত্বের বিষয়টি দূরেই রাখতে চান নেইমার। গতকাল সাংবাদিকদের নেইমার নিজ মুখে বলেছেন এ কথা। তিনি জানিয়েছেন তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকলেও ফাইনাল ম্যাচে এই বন্ধুত্বের কোনো ছাপ তিনি রাখবেন না। এ ব্যাপারে নেইমার বলেন, ‘আমি সব সময় বলি আমার দেখা মেসি হলেন সেরা ফুটবলার এবং সে আমার বেশ ভালো বন্ধু। কিন্তু আমরা ফাইনালে খেলব, আমরা এখন শত্রু। আমি ফাইনাল জিততে চাই, আমি সত্যিই এই শিরোপা জিততে চাই, যেটি হবে আমার প্রথম কোপা আমেরিকার শিরোপা।’ তিনি আরো বলেন, ‘মেসি তার জাতীয় দলের হয়ে অনেকদিন ধরে একটি শিরোপা জিততে চাইছে। আর যখন কোনো টুর্নামেন্টে ব্রাজিল থাকে না তখন আমি তার জন্য প্রার্থনা করেছি। ২০১৪ সালের বিশ^কাপের ফাইনালে যখন সে খেলে তখন তাকে সমর্থন করেছি আমি। কিন্তু ব্রাজিল নিজেই এখন ফাইনালে। আর তাই আমাদের বন্ধুত্বটা এখন দূরেই রাখছি। একে অপরের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা সেটি সব সময় থাকবে। কিন্তু এখানে তো শুধু জয় একজন পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখন আপনার সঙ্গে কারো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। তখন সেটি ভুলে যাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু উদাহরণ হিসেবে বলি যখন আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও গেমস খেলেন তখন আপনি যেভাবেই হোক তাকে হারাতে চান। এই জিনিসটাও ঠিক একই হবে।’

মেসি যেমন জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। তেমনই পারেননি নেইমারও। ২০১৯ সালে যখন তার দেশ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় করে তখন তিনি ইনজুরির কারণে দর্শক হয়ে খেলা দেখেছেন। ফলে মেসির মতো নেইমারও শিরোপা জয়ের জন্য উগ্রীব হয়ে আছেন। তাই তিনি কোনো ছাড় দেবেন না এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এদিকে কোপা আমেরিকার পুরো আসর দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে হলেও ফাইনাল ম্যাচটিতে থাকছে দর্শক। জানা গেছে কোপার আয়োজক কনমেবল রিও ডি জেনেরিও কর্তৃপক্ষের কাছে দর্শককে প্রবেশের অনুমতি দিতে আবেদন জানিয়ে। ফলে মারাকানা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার ১০ ভাগ লোককে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হবে। মানে এখন সব মিলিয়ে সাত হাজার ১০০ দর্শক খেলা দেখতে পারবে। তবে এই ম্যাচের কোনো টিকেট বিক্রি করা হবে না। তার বদলে দুটি দেশকে ও স্পন্সরদের দেয়া হবে টিকিটগুলো।

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফাইনাল নিয়ে এখন চলছে বাকযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টও। তিনি জানিয়েছেন তার দেশ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পাঁচটি গোল দেবে। এ কথা শোনে কোনো মন্তব্য করেননি আজেন্টিনার প্রেসিডেন্ট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App