×

জাতীয়

বোনরে ফিরাইয়া দেন, ওরা তালা মেরে পুড়িয়ে মারছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ০৩:০২ পিএম

বোনরে ফিরাইয়া দেন, ওরা তালা মেরে পুড়িয়ে মারছে

রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন, বোন রাহিমাকে শনাক্ত করতে পারেনি ফাহিমা। ছবি: ভোরের কাগজ

আমার বোনরে ফিরাইয়া দেন। ওরা আমারে ভেতরে যাইতে দেয়নাই। সব গেটে তালা মেরে রাখছে। তালা খোলা থাকলে বোনটা নিচে নামতে পারতো। ওরা তালা মেরেই আমার বোনরে পুড়াই মারছে। আমার বোনরে এহন কই পাবো। আপনারা আমার বোনরে ফেরত আইনা দেন বলতে বলতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর লুটিয়ে পড়ছিলেন ফাহিমা নামে এক নারী।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় একসঙ্গে চাকরি করতেন তারা দুই বোন। অগ্নিকাণ্ডের পর বোনের খোঁজ পাচ্ছেন না। বোনের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ ও কারখানার সামনে ছোটাছুটি করে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর পর বিলাপ করতে করতে লুটিয়ে পড়ছেন।

রাহিমার চাচাতো বোন ফাহিমা বলেন, তাদের নিখোঁজ বোনের নাম রাহিমা (৩০)।  আগুন লাগা ভবনের ৪র্থ তলায় ললিপপ সেকশনে কাজ করতো রাহিমা। আর পাশের ভবনে পুরোনো ক্যান্টিনে কাজ করতো ফাহিমা। আগুন লাগার পর থেকে রাহিমার খোঁজ মিলছেনা।

ফাহিমা ভোরের কাগজকে বলেন, পুরনো ক্যান্টিনে কাজ করার সময় আগুন লাগার খবর পাই। জানতে পারি চতুর্থ তলার সিঁড়ির সামনে লোহার জালি দিয়ে বানানো গেটে তালা দেওয়া। এজন্য আমার বোন বের হতে পারছেনা। আমি সবার পায়ে ধরছি, ভেতরে যাওয়ার জন্য। কেউ কথা শোনেনাই। লাথি মেরে ফেলে দিছে। তাও বলছি, মারা গেলে আমি যাবো, তাও আমার বোনকে বাঁচাতে যেতে দেন। কেউ কথা শুনলোনা। সব গেটে তালা মেরে রাখলো। আমার বোন তালা মারা দরজা খুলতে না পেরে মারা গেছে। কারখানার লোকজনই মেরে ফেলছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। আমার বোনকে ফেরত চাই।

কান্না করতে করতে ফাহিমা আরও বলেন, গাউছিয়া ভুলতা এলাকার একটি বাসায় দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্বামী সেলিম মিয়াকে নিয়ে থাকতেন রাহিমা। এখন ওর সন্তানদের কি হবে। যে অন্যায় কারখানা করছে এর সাজা না দিলে আমরা বসে থাকবোনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App