বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করলেই মিলবে টাকা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ০৬:২৪ পিএম
সেই মুদ্রায় শুধু কমলালেবু নয়, অনেক ধরনের ফলের পাশাপাশি কফি এবং আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও কেনা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করলে আয় করা যায় ডিজিটাল কারেন্সি। সেই মুদ্রায় শুধু কমলালেবু নয়, অনেক ধরনের ফলের পাশাপাশি কফি এবং আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও কেনা যায়।
উলসানের ওই টয়লেটটির ডিজাইন করেছেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএনআইএসটি)-র আর্বান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক চো জায়-এয়ন। পরিবেশবান্ধব ওই শৌচাগারের নাম দিয়েছেন বীভি। Bee এবং Vision শব্দ দুটোর প্রথম অংশ নিয়ে তৈরি এই নামেই শুধু নয়, এর কার্যকারিতায়ও দূরদর্শিতার ছাপ রেখেছেন চো জায়-এয়ন। নাহলে টয়লেট ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভূমিকা রাখা যাবে, সেই বিদ্যুতে আলো জ্বলবে ভবনে। আর তাই মলত্যাগ করেও অর্থ আয় করা যাবে- এতদিন এমন কথা কে ভাবতে পেরেছে? খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
চো শুধু ভাবেননি, ভাবনার বাস্তবায়নও করেছেন। তাই বীভি-তে রয়েছে মলকে মাটির নীচের এক ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা। ভবনের পাশেই রয়েছে ল্যাবরেটরি। মাটির নীচে মল থেকে তৈরি হয় মিথেন গ্যাস। ল্যাবরেটরিতে রাখা এক যন্ত্রের সহায়তায় সেই মিথেন থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
এক ব্যক্তি একবারে গড়ে ৫০০ গ্রামের মতো মলত্যাগ করে। সেই মল দিয়ে তৈরি হয় ০.৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, যা দিয়ে একটা গাড়ি অনায়াসে ১.২৫ কিলোমিটার পথ চলতে পারে। টয়লেটে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করেননি প্রফেসর চো। মলের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থাও রেখেছেন। জিগুল নামের এমন এক ভার্চুয়াল কারেন্সি তৈরি করেছেন যার বিনিময়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দোকান থেকে নিয়মিত বই, নুডলস, বিভিন্ন ধরনের ফল, কফি ইত্যাদি কিনছেন।
একবার টয়লেটে গেলে আয় হয় ১০ জিগুল। যার যত জিগুল জমবে, তত বেশি পণ্য কিনতে পারবে সে। শিক্ষার্থী হেও হুই-জিন তো মহাখুশি, ‘এতদিন মনে করতাম মল খুব নোংরা জিনিস, এখন সেই জিনিসই আমার কাছে খুব মূল্যবান। এখন তো খাওয়ার সময়ও কোনও বই কেনার কথা মাথায় এলে মল নিয়ে কথা বলি!'