×

খেলা

হারারে রান পাহাড়ে টাইগাররা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৬:১৫ পিএম

হারারে রান পাহাড়ে টাইগাররা

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সতীর্থরা

হারারে টেস্টে আজ দ্বিতীয়দিন (বৃস্পতিবার) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ স্কোর বোর্ডে কত রান তুলতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে তারা দুজন হতাশ করেননি ভক্তদের। এদিন ঘরে বসে টিভির পর্দায় মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিনের ব্যাটিং নৈপুন্য দেখে চোখ জুড়িয়েছেন টাইগার ভক্তরা। এমনকি তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা। ১২৬ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৮ রান তুলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে তাসকিন সাজঘরে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ ১৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এদিন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ রান করে মিল্টন শুম্বার বলে বোল্ড হন তাসকিন। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট হারান তিনি। ১৩৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি সাজান ১১টি দারুণ বাউন্ডারিতে।

এছাড়া এদিন বিশ্বরেকর্ড গড়া না হলেও টেস্টের নবম উইকেট জুটির দ্বিতীয় সেরা তালিকায় নাম উঠেছে মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিনের। এর আগে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে নবম উইকেট জুটিতে মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্স দুজন মিলে গড়েছিলেন ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ। যা বিশ্বরেকর্ড হিসেবে টিকে আছে দীর্ঘ ২৩ বছর। আজ তাদের পিছনে ফেলার দারুন সুযোগ পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের নবম উইকেট পার্টনারশিপ থামে ১৯১ রানে। যা বিশ্ব রেকর্ড থেকে ৪ রান কম। তবে টাইগার দলের এ দুই ক্রিকেটার আজ পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও ইন্তেখাব আলমের গড়া ১৯০ রানের পার্টনারশিপকে। তাই বিশ্বরেকর্ড গড়তে না পারার আক্ষেপ থাকলেও দেশের হয়ে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন। আগের ১৮৪ রানের রেকর্ডটি তারা টপকে গেছেন। এর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবুল হোসেনের সেই স্মরণীয় সেঞ্চুরির দিনে নবম উইকেটে ১৮৪ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জুটিতেও আবুল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আজ নবম উইকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিতেও থাকলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে নবম উইকেটে আর মাত্র একটা একশর চেয়ে বড় জুটি আছে বাংলাদেশের। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৫ রান তুলেছিলেন রবিউল ইসলাম ও সোহাগ গাজী।

এদিকে গতকাল টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। এরপর ফের ব্লেসিং মুজারাবানির বলে শান্ত ক্যাচ তুলে দেন ডায়ন মায়ার্সের হাতে। আউট হওয়ার আগে শান্ত ২ রান করেন। এরপর দেখে শুনে খেলতে শুরু করেন সাদমান। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। এনগারাভারের ফুল লেন্থ বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ২৩ রান করা সাদমান। পরে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলার ভিক্টর নিয়াউচির বলে ডায়ন মায়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। আউট হওয়ার আগে তিনি ৯২ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ৭০ রান করেন। তাছাড়া ভালো খেলার আভাস দিয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিক। তিনি ৩০ বলে ১১ রানে আউট হন। এরপর মাঠে নামেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তিনিও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভিক্টর নিয়াউচির করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিব আউট হন ৩ রান করে। প্রথম দিন ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদে ছিল বাংলাদেশ। তখন শঙ্কা জেগেছিল দলীয় স্কোর দুইশ ছাড়ানো নিয়ে। সে শঙ্কা উবে যায় লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। এমনকি দলের দুঃসময়ে বেশ দাপটে ব্যাট হাতে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান লিটন। সেই সঙ্গে খেলেন টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তবে এত ভালো খেলেও আক্ষেপে পুড়ছেন লিটন। কারণ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা যখন ৫ রান দূরে, ঠিক তখনই ডোনাল্ড তিরিপানোকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন তিনি। লিটন ১৪৭ বলে ১৩ টি চারের সাহায্যে ৯৫ রান করেন। তবে লিটনের পর মিরাজও আউট হলে ফের বিপাকে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আজ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তাসকিন। নবম উইকেটে তাদের ১০০ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ চারশ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App