তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্যই সচিবদের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয় সভার বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন সঞ্চালনায় সভায় ভার্চুয়ালি আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর পিপিএম, চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা। সভায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন গণমুখী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। [caption id="attachment_295403" align="aligncenter" width="628"] তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption] তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজে সমন্বয়ের দায়িত্ব সচিবরাই পালন করেন। সেজন্যই তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় সরকারি কার্যক্রম বিশেষ করে কোভিড মোকাবিলার যাবতীয় সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা জেলার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বয় করছেন। এখানে কাউকে বড় বা খাটো করা হয়নি।

মেগা প্রকল্পে অর্থ কমিয়ে ভ্যাকসিন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপির মত জোড়াতালি দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ চালায় না। টিকা কিনতে কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ কমানোর প্রয়োজন নেই। তারা নিজেরাই দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ছিলেন। জোড়াতালি দিয়ে দেশ চালিয়েছেন। আমাদের সেটা করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবেই দেশ চালাচ্ছেন। কোনো জায়গা থেকে কমিয়ে কোনো কিছু করতে হবে না। ভ্যাকসিনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা আছে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি নজর দেয়ার বিএনপি মহাসচিবের পরামর্শের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমদফা লকডাউনে সরকার ৭ কোটির বেশি মানুষকে সহায়তা দিয়েছে। আরো কয়েক কোটি মানুষকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এটা চলমান আছে। আওয়ামী লীগের থেকেও পর্যাপ্ত সাহায্য দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে আছে। ফখরুল সাহেবরা জনগণের পাশে দাঁড়াননি। শুধু টেলিভিশনেই বক্তব্য দেন। মাঝেমধ্যে অনলাইনে উঁকি মারেন। দেশে কোনো হাহাকার নেই। ১৬ মাসে করোনায় দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি। এটিই সরকারের সফলতা। ইনশাআল্লাহ আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো।

[caption id="attachment_295404" align="aligncenter" width="1094"] চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাশ করায় তারা মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট শিল্পীরা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

পরে টিভি নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতারা মন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাশ করায় তারা মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সালাউদ্দিন লাভলু, কামরুজ্জামান সাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, হাবিব নাসিম ও আনজাম মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।