×

জাতীয়

লকডাউনেও লঞ্চ চালানোর অনুমতি চান মালিকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৮:৫৭ পিএম

লকডাউনেও লঞ্চ চালানোর অনুমতি চান মালিকরা

ফাইল ছবি

করোনার কঠোর লকডাউনের মধ্যেই যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর অনুমতি চেয়েছেন মালিকরা। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ ও নিজেদের জীবন জীবিকার স্বার্থে তারা এ অনুমতি চান। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

এতে সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, করোনার কারণে হাজার হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন ও হাসপাতালে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছে। আর আমরা কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিভিন্ন নদীবন্দরে অলস বসিয়ে রেখে কাতরাচ্ছি। বাসায় অধিকাংশ মালিকের বাজার করার টাকা নেই। সন্তানদের টিউশন ফি দিতে পারছি না। শ্রমিকদের ৬ মাসের বেতন বোনাস দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংক ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে পারছি না। অথচ রাজস্ব বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে কোটি কোটি টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে।

লঞ্চ মালিকরা এ পর্যন্ত কোনো সহায়তা বা প্রণোদনা পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, লাখ লাখ শ্রমিক এখন বেকার জীবন-যাপন করছেন। লঞ্চগুলো অযত্নে নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। ফলে ভবিষ্যতে লঞ্চ চালানোর জন্য মাস্টার-ড্রাইভার সংকট হতে পারে। তিনি বলেন, যেখানে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি নৌরুটে ২২০টি লঞ্চ দিয়েও ঈদের সময় নাড়ির টানে ঘরে ফেরা যাত্রীদের পরিবহন করতে হিমশিম অবস্থা হত, সেখানে মাওয়া ও আরিচায় গুটি কয়েক ফেরি দিয়ে মানুষ গাদাগাদি করে পারাপার হয়েছে। যে কারণে করোনার প্রকোপ গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালু থাকলে এ অবস্থা হত না।

গত বছর ২১০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েও না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২০ সালে ৪ জুলাই থেকে প্রায় ২ মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। তখন আমরা শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য ২০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েও পাইনি। গত জুন থেকে আবার লঞ্চ বন্ধ থাকায় আমরা ৪ মাসের বেতন ও ২ টি ঈদ বোনাসের জন্য মোট ৪০ কোটি টাকা চেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা, শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ ও লঞ্চ মালিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি চান তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App