×

পুরনো খবর

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জোরালো হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৭:০৩ পিএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জোরালো হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোন ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দু-একদিনের মধ্যেই ঢাকা উভয় সিটি কর্পোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জোরালোভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া,আগামী সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব, ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোন অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ তিন দিনের বেশি জমানো পানিতে মশা প্রজনন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নির্মাণাধীন এবং পরিত্যক্ত ভবনই হচ্ছে এডিস মশার প্রধান ঊর্বর জায়গা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব জায়গায় জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা দশ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় আড়াই শো গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষকে বার বার এসব বিয়য়ে সচেতন করার পরেও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি কর্পোরেশনে দশ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে এবং আগামীকাল থেকে তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বা জরিমানা করবেন।

সরকারি নির্দেশনা অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও মানছে না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকারি বা বে-সরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত অথবা ব্যবহার করা ভবন যেখানেই হোক পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশা প্রজননে ভূমিকা রাখলে আইন আনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোন অধিকার আমার, আপনার কারোরই নেই।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর মারাত্মক ভয়াবতার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিলো। এবছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে।

শুধু অভিযান চালিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এবছরের জানুয়ারি থেকে এ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App