×

জাতীয়

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৮:৪৮ এএম

দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুতে রেল স্লিপার বসানো শেষ। এবার রেললাইন বসানোর কাজ করতে চায় পদ্মা লিংক রেলপথ প্রকল্প বিভাগ। কিন্তু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর ওপর দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন বসানোসহ বেশ কিছু কাজ চলমান। মালপত্র আনা-নেয়া ও কাজের জন্য সেতুর ওপর আপাতত রেললাইন বসানোর অনুমতি দেয়নি সেতু বিভাগ। আগামী বছরের মার্চের আগে রেললাইন বসানোর অনুমতি না পাওয়ায় পদ্মা লিংক রেলপথ প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছে রেল মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে পদ্মা রেল লিংক রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রেল প্রকল্পের মোট দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। তবে পদ্মা লিংক রেলপথের মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ পুরোদমে চলছে। এরই মধ্যে সেতুর মাওয়া প্রান্তে রেললাইন বসানোর কাজ চলমান।

তিনি জানান, সেতু কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ায় পদ্মা সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি। আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি। তারা বলছে, এখনো গ্যাস পাইপলাইন, ফুটপাত, রেলিংসহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শেষ হলে আমাদেরকে রেললাইন বসানোর অনুমতি দেবেন। এজন্য আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আগামী বছরের জুনের মধ্যে রেল ও সড়ক একসঙ্গে উদ্বোধন সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আফজাল হোসেন বলেন, একটু চ্যালেঞ্জ তো থাকছেই। তবে এটি সরকারের বিষয়। সরকার যেভাবে চাইবে, সেভাবে কাজ হবে।

তিনি বলেন, আমরা আবেদন জানিয়েছি কাজ শুরু করার, যদি এখনই অনুমতি পাই, তাহলে চলমান কাজের সঙ্গে এ কাজটিও সমানতালে শেষ হবে।

তিনি জানান, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুকে ২ হাজার ৯৫৯টি কংক্রিট স্ল্যাবের মাধ্যমে জোড়া দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত স্ল্যাবে এখন স্লিপার বসানো বাকি।

রেল প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গ নতুন এ প্রকল্প পরিচালক জানান, আপাতত মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ তৈরির কাজ চলছে। এর ভৌত অগ্রগতি ৭০ শতাংশের মতো। এরই মধ্যে মাওয়া প্রান্তে আমরা ৩০০ মিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ করেছি। আশা করছি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষ হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে ট্রেনও চলবে।

এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, একই দিন পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক যানের সঙ্গে ট্রেনও চলবে, এমন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সে অনুযায়ী দুটি প্রকল্পেরই নির্মাণকাজ চলছে। তবে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যেটি একটি সঙ্গে অন্যটি সাংঘর্ষিক হয়। তিনি বলেন, মূল সেতুর রেলপথের পাশে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। আরো বেশ কিছু কাজ চলমান। একই সঙ্গে দুটি সংস্থা কিংবা ঠিকাদার কাজ করতে পারে না।

এক্ষেত্রে রেললাইন বসানোর কাজ পিছিয়ে যাবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু সমস্যা হবে। তবে তারা অন্য কাজগুলো শেষ করতে করতে সেতুর ওপর কাজ শুরু করতে পারবেন।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একই দিন সেতুতে সড়কযানের সঙ্গে ট্রেনও চলবে। যেটি শেষ করা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও আমাদের রেলের কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম। এজন্য আমরা নতুন করে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত বিশেষ যন্ত্রপাতিসহ অতিরিক্ত আরো ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে দিন-রাত রেলপথ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মূল সেতুতে এখন গ্যাস পাইপলাইনের কাজ চলছে। এটি শেষ হলে রেললাইন বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল সেতুর কাজের অনুমতি পাওয়া যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App