×

সারাদেশ

অর্থের লোভে কিছু জাতীয় নেতা একরামকে উস্কানি দেয়: মির্জা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১০:৫৯ এএম

অর্থের লোভে কিছু জাতীয় নেতা একরামকে উস্কানি দেয়: মির্জা

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে বক্তৃতা দেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ছবি: ভোরের কাগজ

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নোয়াখালীতে অপরাজনীতির হোতা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। কয়দিন তার মুখ বন্ধ ছিল। বুধবার (৭ জুলাই) রাত্রে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ত্যাগী নেতা আলাম মাস্টারকে মদ খেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। আলম মাস্টারের ছেলে নাকি তার বিরুদ্ধে লেখেছে।

এই সাহস সে কোথা থেকে পায়। জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বাদ দেন। সে একজন এমপি । এভাবে মদ খেয়ে, যার তার সঙ্গে, যা ইচ্ছা তাই বলবে? তাকে এ ক্ষমতা কে দিয়েছে? এত বড় দুঃসাহস তাকে কে দিয়েছে? কিছু জাতীয় নেতা আজকে অর্থের লালসায় তাকে উস্কানি দেয়। না হলে এ ছেলে এত সাহস কোথা থেকে পায়?

বুধবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র কাদের মির্জা একরাম চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদেরকে বলে আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান। আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান নাকি, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সেটার প্রমাণ নেত্রীর কাছে আছে। তোমার এ দুঃসাহস কোথা থেকে হয়েছে। যাকে ইচ্ছে তাকে মা ধরে গালিগালাজ করবে। তুমি কে? এত বড় শক্তি তুমি কোথা থেকে পেয়েছো। কাকে টাকা দিয়ে আজকে নোয়াখালীতে তুমি মুকুটহীন সম্রাট সাজতে চাও। কাকে টাকা দাও, তারা কে? তাদের স্বরুপ উদঘাটন করা হবে। ছেড়ে দেওয়া হবে না। আজকে লোভী অপরাজনীতির হোতারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, একরাম চৌধুরী দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। এত বড় সাহস সে কোথা থেকে পায়? কেন্দ্রীয় কিছু অর্থ লোভী নেতাদের কারণে তার মতো ছেলে এ কথাগুলা বলার সাহস পায়।

জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি যাকে ইচ্ছে তাকে দিয়ে একটা কমিটি দেন। অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে কাজ হবেনা। করোনাকে অজুহাত হিসেবে না দেখে দয়া করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দিন। আপনি যাকে দায়িত্ব দিবেন, আমরা তাকেই মেনে নিবো। তবে একরামের (একরামুল করিম চৌধুরী) পরিবর্তে আরেক অপরাজনীতির হোতা একরাম আসুক আমরা তা চাই না। আমরা নোয়াখালী আওয়ামী লীগের গুনগত পরিবর্তন চাই।

মির্জা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি রক্ষায় জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দিন। শাসকদের মধ্যে নীতি নৈতিকতা থাকতে হয়। প্রায় দুই বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে কিন্তু কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা কাজ করছে। আমি যে প্রস্তাবনা দিয়েছি, তাদের মধ্যে অনেকেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্য। সবাইকে তো নেতৃত্বে আনা সম্ভব নয়। আপনি যাদেরকে দায়িত্ব দিবেন, নেতাকর্মীরা তাদের মেনে নিবে। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা নীতিনির্ধারক তাদের কর্মকান্ডে অনেকে বিরক্ত। সম্মেলনে যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের কমিটির এখনো অনুমোদন পায়নি। এই কমিটি ৯ মাস পর একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছে যেখানে রাজাকারের সন্তানরাও রয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে হাইব্রিড ও অপরাজনীতির হোতারা। তাই পুরো নোয়াখালীতে প্রতিবাদ উঠেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App