×

সারাদেশ

শেরপুরে বীজতলায় বন্যহাতির তাণ্ডব, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ০৪:৪৮ পিএম

শেরপুরে বীজতলায় বন্যহাতির তাণ্ডব, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা

কৃষকের বীজতলা নষ্ট করেছে ফেলেছে বন্য হাতি। ছবি: ভোরের কাগজ

শেরপুরে বীজতলায় বন্যহাতির তাণ্ডব, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা

লোকালয়ে বন্য হাতি।

শেরপুরের সীমান্ত পল্লীতে বন্যহাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বন্যহাতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সীমান্তের কৃষকরা। শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামে বন্যহাতির তাণ্ডবে আমনের বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে বন্যহাতির দলটি তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ২শ কেজি আমনের বীজতলা খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ৩০-৪০টি বন্যহাতির একটি দল খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে। এ সময় সীমান্তবর্তী আন্ধারুপাড়া গ্রামের পাহাড়ে থাকা বীজতলায় তাণ্ডব চালায়। এতে আদিবাসী নেতা মি. লুইস নেং মিনজার ৮০ কেজি, এন্দ্রোস রাকসামের ১৫ কেজি, জন মাংসাং এর ১০ কেজি, হাসমত আলীর ২৫ কেজি, আনোয়ার হোসেনের ১০ কেজি, অজিত সাংমার ১৫ কেজি, জন ম্রং এর ২০ কেজি, মেজেস সাংমার ১০ কেজি ও আশিন্দ্র ম্রং এর ১০ কেজি ধানের বীজতলা বিনষ্ট হয়।

ট্রাইবাল নেতা লুইস নেংমিনজা জানান, গেল বোরো মৌসুমে বন্যহাতির তাণ্ডবে পাহাড়ি এলাকায় আমাদের অনেক কৃষকের উঠতি বোরো ধান নষ্ট করে বন্য হাতির দল। এরপর আম-কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে। এখন আমনের বীজতলায় হানা দিচ্ছে। এভাবে একের পর এক বন্যহাতির তাণ্ডবে আমরা দিশেহারা।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে বন্যহাতি প্রতিরোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কোন সহযোগিতাও মিলছে না।

[caption id="attachment_295114" align="aligncenter" width="500"] লোকালয়ে বন্য হাতি।[/caption]

ক্ষতিগ্রস্থ অপর কৃষক জানান, অল্প কয়েকদিন পরই আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হবে। এমন সময় বন্যহাতির তাণ্ডবে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়ল। এখন আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করে আমন আবাদ সম্ভব নয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া জানান, বন্যহাতি প্রতিরোধে কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে কেরোসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, জগ বা সার্চ লাইট হাতি প্রতিরোধে কার্যকর। এমতাবস্থায় বন্যহাতি আক্রান্তদের মাঝে জগ লাইট বা সার্চ লাইট দাবি করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য সহযোগিতা করা হবে

এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনী প্রদানের মাধ্যমে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App