×

খেলা

রাতে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক হাইভোল্টেজ ম্যাচ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৪ পিএম

রাতে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক হাইভোল্টেজ ম্যাচ

শেষ মুহূর্তে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন হ্যারি কেনরা

রাতে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক হাইভোল্টেজ ম্যাচ

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত উপহার দিয়েছে স্পেন-ইতালি। আজ গড়াচ্ছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে ফেভারিট ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ তুলনামূলকভাবে কম শক্তির ডেনমার্ক। রাত ১টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি যা সরাসরি দেখাবে সনি টেন-২ চ্যানেল। এ ম্যাচে হ্যারি কেন বাহিনীর বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবেই নামবে ড্যানিশরা। কেননা, শক্তি, সামর্থ্য, ফিফা র‌্যাঙ্কিং সব দিক দিয়েই ডেনমার্কের চেয়ে এগিয়ে ইংলিশরা।

ইংল্যান্ডের কাছে ইউরোর শিরোপাটা এখনো অধরা। চ্যাম্পিয়ন হবে তো দূরের কথা, কোনো আসরে ফাইনালেও উঠতে পারেনি তারা। সর্বোচ্চ খেলেছে সেমিফাইনাল পর্যন্ত। অর্থাৎ ইউরোর সাফল্য আনার পাশাপাশি ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার ফুটবলকে ঘরে ফেরানোর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। ফেভারিটের তকমা পাওয়া ইংল্যান্ড কি পারবে সেমিফাইনাল জুজু কাটিয়ে ফাইনালে উঠতে? যদি পারেই, তবে সাউথগেটের ট্রাম্প কার্ডকে, রহিম স্টার্লিং না হ্যারি কেন?

প্রতিনিয়ত বর্ণবিদ্বেষী তীরে বিদ্ধ হতে থাকা স্টার্লিংয়ের ওপর আস্থাই ছিল না সাদা চামড়ার ইংলিশদের। সেই স্টার্লিংই কিনা এখন পর্যন্ত  যৌথভাবে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ‘ডি’ গ্রুপে ক্রোয়েশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে তার দুটি গোলই ছিল জয়সূচক। শেষ ষোলোয় জার্মানির বিপক্ষে তিনিই ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেন। ফলে এবার ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচে তার ওপর আস্থা না রেখে পারছেই না ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হ্যারি কেনকে নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। গোলই পাচ্ছিলেন না রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট বিজয়ী। জার্মানির বিপক্ষে সেই গোলখরা কাটানোর পর টুর্নামেন্টে এখন তিন গোল তার। সর্বশেষ ইউক্রেনের বিপক্ষে জোড়া গোল পেয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ স্টার্লিং-কেন দুজনের সামনেই এখন থাকছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার সুযোগ। ৫ গোল নিয়ে যেখানে বসে আছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক সিখ। প্রয়োজনে ইংলিশদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন মাঝমাঠের প্রাণ জ্যাক গ্রিয়ালিশও, জ্যাডন সাঞ্চোও তো সর্বশেষ ম্যাচে চমক দেখিয়েছেন।

[caption id="attachment_295117" align="aligncenter" width="687"] অনুশীলনে ব্যস্ত ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা[/caption]

এবারের আসরে ইংল্যান্ডের শক্তির জায়গা তরুণ ফুটবলাররা, বিশেষ করে বললে সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ম্যাসন মাউন্ট, রিস জেমস ও বেন চিলহোয়েল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালিস্ট ফিল ফোডেনও থাকছেন কোচের শক্তি হিসেবে। গোলপোস্টের নিচে জর্ডান পিকফোর্ডের সমকক্ষ হয়ে ওঠেছেন অ্যারন রামসডালেরা। তাই পিকফোর্ডকে না পেলেও হয়তো দলের পারফরম্যান্সে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না ইংল্যান্ডের। রক্ষণে লোকে শ, কাইলে ওয়াকার ও হ্যারি মাগুইরে। মধ্যভাগে কেলভিন ফিলিপস, ডেকলাইন রিচ, বুকায়ো সাকা, জুদে বেলিংঘামরা তো আছেনই। আক্রমণভাগে মার্কাস রাশফোর্ড, রহিম স্টার্লিংদের সঙ্গে হ্যারি কেনের যোগ্য বিকল্প ডমিনিক কালভার্ট লেউইন। ইংল্যান্ডের ভালো দিক হচ্ছে হুটহাট আক্রমণে উঠে যাওয়া।

ইংল্যান্ডের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৪ হলেও ডেনমার্ক তালিকার দশম স্থানে। পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ইংল্যান্ড। দুদলের ২১ দেখায় ইংল্যান্ডের জয় ১২ ম্যাচে। ডেনমার্ক জিতেছে ৪ ম্যাচে, ৫টি ম্যাচ ড্র। এ ম্যাচে সবার প্রার্থনা থাকবে হয়তো ডেনমার্কের পক্ষে। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তাই ডেনমার্ক এরিকসেনের জন্য হলেও এই আসরের ফাইনালে চলে যাক এমনটা তো এরিকসেন ঘটনায় ব্যথিত হওয়া ব্যক্তি মাত্রই চাইবেন! ডেনমার্কে বড় কোনো তারকা নেই। তবুও তারা অনেকটা ভারসাম্যপূর্ণ দল। এই দলের ক্যাসপার ডলবার্গ করেছেন ৩টি গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো-সিখকে ধরতে তার লাগে আরো দুই গোল। জোয়াকিম মাহলে ও ইউসুফ পৌলসেন করেছেন দুটি করে গোল। বার্সেলোনার মার্টিন ব্রাথওয়েটও জ্বলে উঠতে পারেন দলের প্রয়োজনে।

ডেনমার্ক নকআউট পর্বে এসেছে ‘বি’ গ্রুপ থেকে। তিন ম্যাচে তাদের জয় ছিল মাত্র, দুটি ম্যাচেই হেরেছে। নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে গ্যারেথ বেলের ওয়েলসকে তারা দিয়েছিল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ। কোয়ার্টার ফাইনালে ড্যানিশদের প্রতিপক্ষ ছিল চেক প্রজাতন্ত্র। যেখানে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় এরিকসেনের সতীর্থরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App