যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ১৭টি গরু অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সাভার ডেইরী ফার্মে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গরুগুলোকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। সাভার কেন্দ্রিয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক এস এম আওয়াল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গত সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে ১৮টি গরু। তবে বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকায় গরুগুলো জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস। তবে একটি গরু সাভারে আনার আগেই বাক্সের ভিতরে মারা যায়।

সাভার ডেইরী ফার্মটিতে আমেরিকা থেকে আনা ১৮টি গরুর মধ্যে ১৭টি গরু ডেইরী ফার্মের ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি গরু সাভারে আনার আগেই বাক্সের ভিতরে মারা যায়। সেটিকে ডেইরী ফার্মের ভিতরে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয়েছে।

গরুগুলোর বিচরণের জন্য পানির মধ্যে বালু ফেলে জায়গাগুলো সমান করে বিচরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গরুগুলোর দেখাশুনার জন্য ডেইরী ফার্মের লোকজনের পাশাপাশি সাদেক এগ্রোর পক্ষেও কয়েকজন লোক সেখানে অবস্থান করছেন।

সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক এস এম আওয়াল হক জানান, ব্রাহমা জাতের গরুগুলো গত ৫ জুলাই দুপুর আড়াইটায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। আমদানির অনুমতি না থাকায় এবং বৈধ কোন কাগজপত্র না পাওয়ায় গরুগুলোকে জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেগুলোকে কোয়ারেন্টিন করার জন্য সাভার ডেইরী ফার্মে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাদেক এগ্রোর মালিক শাহ ইমরান জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সার্টিফিকেট না থাকায় গরুগুলো জব্দ করা হয়েছে। আমি ৬-৭ মাস আগে ফাইল সাবমিট অনুমতি চাইলেও অধিদপ্তর বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে সেটি প্রসেস করতে দেরী করে। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের এয়ারলাইনস বুক করা ছিলো। তাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এনওসি না পেলেও চুক্তির সময় অনুযায়ী তারা গরু পাঠিয়ে দিয়েছেন।