×

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবে বাড়ছে চুক্তি-বিয়ে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২১, ১২:১০ পিএম

সৌদি আরবে বাড়ছে চুক্তি-বিয়ে

ফাইল ছবি

সৌদিআরবে শর্তহীন বা নামমাত্র বা চুক্তি-বিয়ে (মিসইয়ার) বেড়েই চলেছে। ‘জাওয়াজ আল মিসইয়ার’ নামে পরিচিত এ বিয়েকে ‘ভ্রমণকারীদের বিয়ে’ও বলা হয়।

সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরেই অস্থায়ী বিয়ের প্রচলিত একটি ব্যবস্থা আইনি বৈধতা পেয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সহাবস্থান এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ বহন করার মতো কিছু অধিকার থেকে স্বামীকে অব্যাহতি দিয়ে থাকেন স্ত্রী। তবে মিসইয়ার বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে যেন কোনোরকম শর্ত বা দায়বদ্ধতাই নেই। যা আছে, তা হলো গোপনীয়তা ও লজ্জা।

মিসইয়ার বিয়ের শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নগদ অর্থ। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে এর মেয়াদ। তবে যেকোনো সময়ে উভয়পক্ষ মুসলিম বিয়ের মূল রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবেন। স্থানীয় সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এ বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। কোনোরকম আত্মিক বন্ধন ছাড়া এ বিয়ের চুক্তি অনুযায়ী তারা একসঙ্গে থাকতে পারবে।

কয়েকটি মিসইয়ার যুগল  সাক্ষাৎকার জানান, বহুবিবাহে আগ্রহীদের জন্যই মিসইয়ার ব্যবস্থা বিশেষভাবে উপযোগী। ধনী ব্যক্তিদের জন্য দ্বিতীয় তার চেয়ে বেশি বিয়ে করার সুযোগ দেয় এ ব্যবস্থা। এটি আগ্রহী নারীদের পুরুষতান্ত্রিক নানা জটিলতা থেকে দূরে রাখে।

এ বিয়েকে হালাল বলে দাবি করেন সৌদি ৪০ বছর বয়সি সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ৩০ বছর বয়সি এক বিধবার সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় এ ধরনের সম্পর্ক রেখেছেন। প্রথম সংসারে তার তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের রেখে যখন খুশি রিয়াদে থাকা মিসইয়ার স্ত্রীকে তিনি দেখতে যান। তার এক বন্ধুর এ রকম ১১ জন গোপন স্ত্রী রয়েছে।

বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সৌদি আরবের প্রবাসী শ্রমিকরা এ ধরনের বিয়ের খোঁজ নিয়ে থাকেন। রিয়াদে কর্মরত ৪০ বছর বয়সি মিসরীয় ফার্মাসিস্ট বলেন, এ বিয়ে খুবই সস্তা। কোনো যৌতুক নেই। কোনো বিধি-নিষেধ নেই। মহামারি শুরু হওয়ার পর তিনি তার স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সি ছেলেকে কায়ারোতে পাঠিয়ে দেন।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকাই কঠিন। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ম্যাচমেকার ‘খাতবা’র সন্ধান পান। এ জন্য তাকে গুনতে হয়েছিল ৫ হাজার রিয়েল (১ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ টাকা)। আমি তাদের আমার চাহিদামতো ওজন, আকার, চামড়ার রং ইত্যাদির কথা জানিয়ে দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত তারা আমার জন্য কাউকে মেলাতে পারেননি।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ বিয়ের হয় ১৪ থেকে ৬০ দিন। তারা বলেছেন, এ বিয়ে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের জন্য খুবই উপযোগী।

রিয়াদের একজন আলেম বলেন, যারা বিয়ের পর স্ত্রী-সংসারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে রাখতে চান না, তারাই এ ধরনের বিয়েতে বেশি উৎসাহী। এ ধরনের পুরুষদের কারণেই এ বিয়ের বিস্তার ঘটেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App