×

অর্থনীতি

পুনরায় ওয়াল্ট ডিজনির সোর্সিং কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১, ১১:২২ পিএম

পুনরায় ওয়াল্ট ডিজনির সোর্সিং কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ

ফাইল ফটো

দীর্ঘ আট বছর পর অনুমোদিত সোর্সিং কান্ট্রির তালিকায় বাংলাদেশকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে ওয়াল্ট ডিজনি। আজ শুক্রবার (২ জুন) বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ওয়াল্ট ডিজনি থেকে এখনও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

শিল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও রূপান্তর, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, সামাজিক মান এবং পরিবেশগত টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওয়াল্ট ডিজনির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইএলওর বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া কারখানাগুলো বিক্রেতা (ভেন্ডর) হিসেবে স্বীকৃত হবে তখনই, যখন কারখানাগুলোর নির্দিষ্ট সংস্কার করে নিরুপণ অথবা আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলে (আরএসসি) অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে।

ওয়াল্ট ডিজনি সংস্থা, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে অগ্নিদূর্ঘটনা ও ভবন ধ্বসের ঘটনায় এদেশ থেকে সোর্সিং করা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আন্তর্জাতিক শ্রম মান নিরীক্ষা বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি তার অনুমোদিত সোর্সিং দেশগুলোর তালিকায় আবারো বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে।

হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার, “কিউআইএমএ”  তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। এই রেটিং-এ স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, শিশু ও তরুন শ্রমিক, বাধ্যতামূলক শ্রমসহ শ্রম বিষয়ক চর্চাগুলো, শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব, শৃঙ্খলাবদ্ধ অনুশীলন এবং বৈষম্য, কর্ম ঘন্টা ও মজুরি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো প্যারামিটারগুলো অন্তর্ভূক্ত করেছিলো। সমীক্ষাটি এমন সময়ে পরিচালিত হয়েছিলো, যখন কোভিড বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্প ও সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করেছিলো। এ সময়ে এভাবে কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন শিল্পের সকল পরিস্থিতিতে দৃঢ়তা ধরে রাখা আর প্রতিশ্রুতির কথাই বলেছে, যা সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

এছাড়াও, ক্লিনার ও সবুজায়ন উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তা টেকসই সরবারহ চেইন তৈরির দিকে শিল্পের প্রতিশ্রুতি ও কর্মের সাক্ষ্য দেয়। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লীড গ্রীণ কারখানার অবস্থান বাংলাদেশেই। ১৪৪টি লীড গ্রীন কারখানা ইউএসজিবিসি থেকে সনদপ্রাপ্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪১টি প্লাটিনাম। বিগত দশকে অক্লান্ত প্রচেষ্টা আর উদ্যোগে দেশটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড আর ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে। বিশ্বে বিজিএমইএ একমাত্র সংগঠন, যে সংগঠনটি কিনা পোশাক শিল্পে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং সবুজ শিল্পয়নে অনুকরনীয় নেতৃত্ব দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App