×

রাজধানী

ঢাবি সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: উপাচার্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২১, ০৮:২৫ পিএম

ঢাবি সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: উপাচার্য

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে স্বশরীরে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। তবে অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড্ডয়নের মাধ্যমে দিবসটির প্রতীকী কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী নভেম্বরে মূল অনুষ্ঠান হবে। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় ভার্চ্যূয়াল সভা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত সমাজের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব তৈরিতে এবং দক্ষ ও প্রকৃত মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ গড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে উপাচার্য এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী যে অসাধারণ বক্তব্য রেখেছেন, তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।

মূল প্রবন্ধে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, আজ পুরো ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পালনের আয়োজনে যোগ দিতে পারায় আনন্দিত। শতবর্ষ পালনের ইতিহাস অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। আমার বিস্ময় শতবর্ষ ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরবময় ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বছর বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন মেধা ,নতুন প্রতিভা যুক্ত হয়েছে। রমেশ চন্দ্র মজুমদার, স্যার এ এফ রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক মাহমুদ হুসেইন, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী আরো অনেক খ্যাতি সম্পন্ন মানুষ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন। বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নিজে যেমন একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসন আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসকেরা নানা উৎপাত সৃষ্টি করেছিলেন। ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে তাদের মধ্য থেকে সন্ত্রাসীও সৃষ্টি করেছিলেন। হলে ছাত্র ভর্তি এবং শিক্ষক নিয়োগে আগের নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। ফলে শিক্ষাব্যবস্থাতেও অরাজকতা দেখা দিয়েছিল। দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ফিরে আসার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা দূর করার চেষ্টা শুরু হয়। এটা আমার প্রার্থনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এককালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ছিল। সেই নামে এবং গৌরবে সে যেন আবার উন্নীত হয়।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎবরণকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App