×

জাতীয়

রাষ্ট্রপতির কাছে দোষ স্বীকার করে বিদেশে যেতে হবে খালেদাকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২১, ০৮:২৩ পিএম

রাষ্ট্রপতির কাছে দোষ স্বীকার করে বিদেশে যেতে হবে খালেদাকে

খালেদা জিয়া ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার বাইরে আইনের অন্য কোনো বিধান দেখাতে পারলে আমি আইন পেশা ছেড়ে দেব।

সংসদ অধিবেশনে বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা। এ সময় বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ ও মোশাররফ হোসেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তোলেন। বিএনপির সাংসদরা বাজেট আলোচনার সময়ও একই দাবি তুলেছিলেন। এ দাবিরই জবাব দেন আইনমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। উনারা দরখাস্তে বলেছিলেন, উনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। ওই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে দুটো শর্ত দিয়ে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। শর্ত দুটো হচ্ছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও দেশে থেকেই চিকিৎসা নেবেন। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটা গ্রহণ করেছিল। তাকে কারাগার থেকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল।

আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপির নেতারা কথায় কথায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলেন। একটি আবেদন যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তখন সেটা কি আবার পুনর্বিবেচনা করা যায়? উনারা তো দরখাস্ত করে শর্ত মেনে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছেন বিদেশে যেতে দিতে হবে। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো নিষ্পত্তি হয়েই গেছে। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না।

খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত বিধিবিধান উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে হলে, সেটা আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটা উপায় আছে, তারা  রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমার আবেদন বিবেচনা করা হলে তবেই সেই আসামি বিদেশে যেতে পারবেন। আর ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে। এছাড়া সংসদে বক্তৃতা দিয়ে বা অন্য উপায় থাকলে, আপনারা আইনটা দেখান। আইনে থাকার পরও যদি আমরা বিবেচনা না করি, তখন বলতে পারবেন।

আইন পেশা ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আনিসুল হক বলেন, আইনে ছয়টি সাব-সেকশন আছে। এর মধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করা যাবে, তাহলে আমি আইন পেশায় থাকব না।

এসময় রুমিন ফারহানার বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, উনি ধান ভাংতে শীবের গীত গাইছেন। উনি ভুলে গেছেন আমি আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নই। অথচ ওনার সব বিষয়টি স্বরাষ্ট্রের অধীনে।

এর আগে রুমিন ফারহানা আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর ছাটাই প্রস্তাবে দেশের অবিচার, গুম, গ্রেপ্তার হয়রানীর বিষয়টি তুলে ধরে আইন মন্ত্রীকে এ বিষয়ে জবাব দেবার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App