×

সারাদেশ

ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২১, ০৬:২৩ পিএম

ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বর্ষণের পানিতে তলিয়ে গেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ। ছবি: খোরশেদ আলম

ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) ভোরে সোমেশ্বরী, মহারশীও কালঘোষা নদীতে উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমেশ্বরী নদীর পানিতে তার ইউনিয়নের ৬/৭টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে বাগেরভিটা চাপাতলী ব্রীজটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, মহারশি নদীর পানিতে সদর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে মহারশির নদীর বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দীঘিরপার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে ফসলি জমিতে বালুর স্তর পড়েছে। মহারশি নদীর রামের কুড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে উপজেলা পরিষদ চত্বর ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ব্যাহত হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড।

গৌরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, তার ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। মহারশি নদীর রামনগর এলাকায় পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ফসলি জমির উপর বালুর স্তর পরে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে অর্ধ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

কাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, তার ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজনু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতিবান্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ৭/৮টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান খান বলেন, ঢলের পানি বাজারে প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, তার ইউনিয়নে এখনো কোন প্লাবিত হয়নি। তবে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে নালিতাবাড়িতে ভোগাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আল মাসুদ বলেন, ঢলের পানিতে তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App