×

সারাদেশ

বাউফলের আলোচিত সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২১, ০৬:৫৮ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফলে কিশোরীকে বিয়ে করা কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারসহ ছয় জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে আগামি ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য জেলা পিবিআই প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৮ জুন) মো. আল ইমরান নামের এক ব্যক্তি পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে ওই মামলা করেন। আল ইমরান উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের সুলতান হাওলাদেরর ছেলে ও প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. আল আমিন জানান, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়সী কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নাছিমনকে (১৪) বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীর প্রেমিকা রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

এঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে চেয়ারম্যান তালাকনামা দিতে বাধ্য হন। মামলায় চেয়ারম্যানসহ তার পাঁচ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিষ্টার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে। আদালতে আবেদনের সময় কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নাছিমনের জন্ম সনদ ও রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপণ করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্ত্রী আছে তবে শারিরিকভাবে অসুস্থ।

উল্লেখ্য, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের সুলতান হাওলাদারে ছেলে রমজান হাওলাদারের সঙ্গে একই ইনিয়নের চুনারপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্ক কোন ভাবেই মেনে নিতে না পাড়ায় নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম কিশোর রমজানের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের কাছে নালিশ করেন। শালিস করার জন্য বৈঠক ডাকলে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম রাজি হোন এবং মেয়েকে চেয়ারম্যানের কাছে বিয়ে দেন।

শালিসির কথা জানার পর প্রেমিক রমজানকে ওই দিন রাতে অসুস্থ্য অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেলে চেয়ারম্যানকে ওই কিশোরীকে তালাক দেন। ইতিমধ্যে ঘটনাটি উচ্চ আদালতের দৃষ্টিতে এলে স্বত:প্রনোদিত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জেলা প্রশাসককে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে কিনা এবং জেলা নিবন্ধনকারীকে কিশোরীর বয়স নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পিবিআইকে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত বিষয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের একটি রুল জারি করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App