×

জাতীয়

প্রতি হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইডসে আক্রান্ত একজন: নিপসম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২১, ০৫:৫০ পিএম

প্রতি হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইডসে আক্রান্ত একজন: নিপসম

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে একজন এইডসে আক্রান্ত। এই তথ্যটিকে সংক্রামক ব্যাধিটিকে নির্মূল করার এবং ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে একটি ইতিবাচক ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অংশ হিসেবে বাংলাদেশ যক্ষ্মা ও এইডস রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে এইডসের প্রাদুর্ভাব নিম্ন পর্যায়ে। কিন্তু, যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের একটি এবং বৈশ্বিক যক্ষ্মা রোগীর তিন দশমিক ছয় শতাংশ এখানেই থাকেন।

এইডস আক্রান্ত মানুষদের যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ, এইডস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়ার কারণে যক্ষ্মার জীবাণুর বিরুদ্ধে মানব দেহ সঠিক সুরক্ষা পায় না। বৈশ্বিকভাবে এইডস রোগে আক্রান্ত মানুষদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ যক্ষ্মা।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনস্থ জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) পরিচালিত ‘এইচআইভি সেরো সার্ভে অ্যামাং টিউবার কিউলোসিস পেশেন্টস ইন বাংলাদেশ, ২০১৯-২০২০ নামক গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে শূন্য দশমিক এক শতাংশ এইডস রোগে আক্রান্ত হন।

নিপসমের পরিচালক ড. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ বলেছেন, এই ফলাফলটি বাংলাদেশের জন্যে খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়। কারণ, এইডস রোগীদের মধ্যে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবের হারটি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডসের বিস্তারের মাত্রার একটি স্পর্শকাতর নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচিত।

যেহেতু এইডসের কারণে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, সেহেতু যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইডস সংক্রান্ত নজরদারিকে এই দুটি রোগের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এর আগে এ ধরনের কোন গবেষণা পরিচালিত হয়নি।

বাংলাদেশে কমপক্ষে তিন লাখ ৫৭ হাজার মানুষ প্রতি বছর যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতি এক লাখে ২২১ জন আক্রান্ত হন এবং মারা যান ২৯ জন।

গবেষণায় আরও জানা গেছে, যক্ষ্মা আক্রান্ত তৃতীয় লিঙ্গের রোগীদের মধ্যে কারও এইডস শনাক্ত হয়নি। নমুনাগুলোর মধ্যে মাত্র ১২ জন যক্ষ্মা রোগীর দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চার জন গৃহবধূ।

গবেষণাটি থেকে জানা গেছে, যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণের হার পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে একই। যারা এইডস আক্রান্ত, তাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ ফুসফুসের যক্ষ্মায় ভুগছেন। তবে পরিবহন শ্রমিক ও দিনমজুরদের মধ্যে এইডসের প্রাদুর্ভাব বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App