জামালপুরে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ০১:২১ পিএম
ডুবে গেছে নলকূপ, চুলা, টয়েলেট।
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে মাত্র কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে গেছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া সরকারের আবাসন প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত
অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
যতদূর চোখ যায় শুধু পানি দেখা যায়।
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে মাত্র কয়েকদিনেই বৃষ্টির পানিতেই ডুবে গেছে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সরকারের দেওয়া গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প। এতে বেশিরভাগই ঘর ছাড়ছেন। এ ঘটনায় আবাসন স্থান বিবেচনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নলকূপ, টয়লেট, রান্না ঘরের চুলাসহ প্রায় সবকিছুই ডুবে গেছে। প্রায় হাটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন উপকারভোগীরা। সরিষাবাড়ির ছাইতানি বিলের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প। বৃষ্টিতেই যে হাল বানের পানিতে এ দুর্ভোগ কতদূর পৌঁছবে তা বুঝতে পেরে এরইমধ্যে ঘর ছেড়েছেন অসহায় মানুষগুলো।
[caption id="attachment_292540" align="aligncenter" width="700"] অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত[/caption]এই স্থান নির্বাচন এবং নিচু স্থানে গৃহ নির্মাণকে প্রশাসনের দায়সারা আচরণ বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। উত্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও জেলা প্রশাসন বলছে, জেলার খাস জমিগুলো নিচু হওয়ায় এ পরিণতি।
স্থানীয়রা বলছেন এ উপকার অপচয় ছাড়া আর কিছু না। তারা বলছেন, চুলাও পানিতে ডুবে গেছে এমন অবস্থায় বাচ্চাদের নিয়ে এখানে কিভাবে থাকবে। তাছাড়া এই মুহুর্তে কোথায় থাকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন বলে জানান তারা।
অনেকে বলছেন, বন্যা না শুধুমাত্র বৃষ্টিতেই এই পানি উঠেছে। বন্যা হলে কি হবে। চালের উপর দিয়ে পানি উঠবে তখন মানুষজন থাকা একেবারেই সম্ভব হবে না। বিলের মাঝখানে ঘর উঠানো একটি অপরিকল্পিত কাজ বলে মন্তব্য করছেন তারা।
[caption id="attachment_292541" align="aligncenter" width="700"] যতদূর চোখ যায় শুধু পানি দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত[/caption]সরিষাবাড়ির প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শিহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের এই জায়গাগুলো উচু করে দেওয়া হবে। যেন তাদের দুর্ভোগ কিছুটা কমে। তবে আপাতত তাদের পাশে স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্র আছে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিব।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান বলেন, এই জায়গাগুলো নিচু বলে হয়তো একটু সমস্যা হয়েছে। পরে আমরা বালু দিয়ে উচু করে দিব। এরপর থেকে খেয়াল করব।
সরিষাবাড়ির এ প্রকল্পে ঘর আছে ২১টি। আর প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।