×

জাতীয়

রাবি ভিসির বাসার সামনেই রাত কাটল অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ০১:৩২ পিএম

রাবি ভিসির বাসার সামনেই রাত কাটল অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের

মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কয়েকজন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। ছবি: ভোরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কয়েকজন উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই রাত কাটিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকেলে ক্যাম্পাসে জড়ো হন তারা। সন্ধ্যা থেকেই অবস্থান করেন ভিসির বাসভবনের সামনে। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীদের বাঁধার মুখে তা স্থগিত করা হয়। তবে রাতেও তারা অবস্থান করার ঘোষণা দেন এবং বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েন। রাতভর সেখানেই ছিলেন কয়েকজন।

বুধবার (২৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন কয়েক টুকরা কাপড় বিছিয়ে। কেউ শুয়ে ছিলেন, কেউ বসে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তারা উঠে পড়েন এবং তাদের দাবির বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, নিয়োগ চূড়ান্ত না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ভিসির বাসভবনের সামনেই রাত্রিযাপন করেছেন। প্রয়োজনে এখানেই রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়া করবেন। তবুও আন্দোলন স্থগিত করা হবে না। তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতিকুর রহমান নামে একজন সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্ত বুধবার সকালে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আন্দোলনকারীরা যে দাবি করেছেন, তা পূরণ করা তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার জড়িত। তাছাড়া তাদের বাধার মুখে সিন্ডিকেট স্থগিত করতে হয়েছে। অথচ নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সোমবার (২১ জুন) স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংসদ ও উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের বিষয়ে সিন্ডিকেটে কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না। তবুও তারা বাঁধা দিয়েছেন।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে আবদুস সোবহান উপাচার্য হিসেবে ৬ মে শেষ কর্মদিবসে ১৩৮ জনকে অ্যাডহকে (অস্থায়ী) নিয়োগ দিয়ে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। সেদিন এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সেদিনই বিকেলে। পরে তদন্ত কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। শেষ অবৈধ নিয়োগে তদন্ত কমিটি বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া যায়। আবদুস সোবহানের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদানের জন্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App