ভিসির বাসভবনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান, বাঁধার মুখে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ১২:৪২ এএম
মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাস ভবনের সামনে নেয় অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তরা। ছবি: ভোরের কাগজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা আন্দোলন করছেন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকেল থেকেই অবস্থান করতে থাকেন তারা। এখনো তারা সেখানে রয়েছেন। সেখানেই রাত কাটিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন তারা। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীদের বাঁধার মুখে তা স্থগিত করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে ৩০-৩৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। নেতাকর্মীরা বিছানা নিয়ে ভিসির বাড়ির সামনে পাহারা বসিয়েছেন। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীদের বাঁধার মুখে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশে অবস্থান করছিলেন মতিহার থানা ওসিসহ বেশকিছু পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে তিন দিনের মধ্যে তাদের বিষয় সমাধান করবে এমন আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, মঙ্গলবারের সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হতো। এ কারণে তারা সিন্ডিকেট সভা করতে দিতে তাদের আপত্তি। নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন। তিনি বলেন, আমাদের দাবি সুস্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ যে কার্যক্রম তা চলবে । তবে আমাদের বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এফসি, সিন্ডিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হবে না।
এ সময় রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর ও প্রক্টর লিয়াকত আলী ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন। কিন্ত আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন এবং ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েন। তারা সাফ জানিয়ে দেন, তারা এখানেই রাত্রিযাপন করবেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, নিয়োগপ্রাপ্তদের বাধার মুখে তিনি সিন্ডিকেট স্থগিত করেছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সোমবার (২১ জুন) স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংসদ ও উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারা সিন্ডিকেট মিটিং এ কোন বাঁধা দিবেন না এমন আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার সাড়ে সাতটায় উপচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট মিটিং ছিল। কিন্তু তারা ছয়টা দিকে বাসভবনে সামনে অবস্থান নেন। তাদের বাঁধা মুখে আমি সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করছি।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আরো বলেন, তাদের (অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত) কিছু অ্যাজেন্ডা ছিল। কিন্তু তারা কী জন্য অবস্থান নিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে তাদের বিষয়ে সিন্ডিকেটে কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।