×

জাতীয়

এনআইডি নিয়ে তিন মন্ত্রণালয়কে আলোচনায় বসার আহ্বান ইসির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ০২:২৩ পিএম

এনআইডি ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র সেবা বিভাগে হস্তান্তরের বিষয়ে চিঠি নয়, এটি কিভাবে হস্তান্তর করা হবে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সেবা বিভাগ, ইসি সচিবালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইটিআই ভবনে মেটিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। ইসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এনআইডি হস্তান্তরে আবারও বিরোধীতা করে সিইসির সঙ্গে দেখা করেন নেতারা।

সিইসি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা টেবিল চেয়ার না যে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম, এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে আলোচনায় বসতে হবে। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান তো এটা। কিভাবে নেবে না নেবে এ বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে।

এনআইডি সেবা চলে গেলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অসুবিধা হবে। নিশ্চয়ই সচিব পর্যায়ে এ বিষয়ে কথাবার্তা হবে। আমাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো তাদেরকে জানাবো।

কমিশন থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল তার উত্তরে তারা কি বলেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা শুধু বলেছেন যে আগের সিদ্ধান্তেই আছেন। এটার উপরে অনেক কাজ। আমাদের সঙ্গে উনারা বসবেন, অবকাঠামো নিয়ে হিসাবপত্র আছে সেগুলো নিয়ে প্রক্রিয়া আছে তার উপরে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা তো আমাদের অবস্থান অনেক আগেই বলেছি।

নুরুল হুদা বলেন, সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত হয়েছে এরকম বলা যায় না। তারা নিতে চায় আমরা দিবো না এরকমও বলা যায় না। সেই রকম অবস্থানে আমরা নেই। আমাদের বসতে হবে তাদের সঙ্গে এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কথা। বসে আমাদের যে অবস্থান আছে সেটা তাদেরকে বুঝাবো, সিদ্ধান্ত কি হবে তখনকারটা তখন দেখা যাবে। এখন তো আগেই বলা যাবে না।

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেবিনেট তো আমাদের কাছে উচ্চ পর্যায়। কেবিনেট থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। তাদেরকে আমরা উত্তর দিয়েছি। আমরা এই পর্যায়ে আছি। তারা যদি এ বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত অথবা পরামর্শ বা তারা কি করতে চায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সচিবের সঙ্গে বসে তখন আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কথা তো আমি বলেছি অনেকবার যে, কমিশন চায় এনআইডি আমাদের কাছে থাকুক।

সিইসি বলেন, সরকার কি যুক্তিতে চায় তাদের অবশ্যই কিছু যুক্তি আছে। আমাদেরও কিছু যুক্তি আছে এগুলো নিয়ে ডায়লগ হবে। তাদের বক্তব্য হলো এই সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে না এবং সেই যুক্তিটা ঠিক। আসলেই অন্য কোনো দেশে এটা থাকার বিষয় না। আর আমাদের যুক্তি হলো এই কাজটা আমাদের অনেক পরিশ্রমের ফসল। এই কাজটা করার জন্য আমাদের কয়েক হাজার নিবেদিত কর্মী তৈরি হয়েছে এবং তারা অত্যন্ত প্রফেশনাল। এতো দিনের ভুল ভ্রান্তি শেষে সব পেরিয়ে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি সম্পন্ন কাজ তারা তৈরি করতে পেরেছে। এটার জন্য নির্বাচন কমিশন গর্ববোধ করে। তারা এর জন্য আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

এই প্রেক্ষিতে আমরা বলেছিলাম যে, এতোগুলো লোক আবার তৈরি করা, আবার ১২ বছর ঘুরে অন্যকোনো ডিপার্টমেন্টের পক্ষে সম্ভব না। তাদের যুক্তি হলো সরকারের জিনিস তারা নিয়ে যাবে। তোমরা তো সরকার না। আমরা বলি আমরা সরকার না কিন্তু সরকারের যখন যা দরকার হয়, আমরা সরকারকে সেসব সেবা দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে যেটা পাঠিয়েছে সেটা হলো তারা নিয়ে যেতে চায়। আমাদের সঙ্গে তাদের কথা বলতে হবে। কিভাবে নেবে বা না নেবে আলোচনা করতে হবে। সেখানে আমাদের আরো যে যুক্তি আছে সেগুলো তুলে ধরবো। এরপর সরকার কি ধরণের সিদ্ধান্ত নেবে না নেবে এটা তো পরের কথা।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডায়লগে বসতে হবে। তারাই প্রোপোজাল দেবে।

ইসিতে রাখার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনি বলা যাবে না। আমাদের যু্ক্তি হলো এই রকম অভিজ্ঞ লোকেরা এগুলো তৈরি করেছে। তাদেরকে আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমাদের যে লোকগুলো আছে তাদের মাধ্যমে সেবা যদি দিতে পারি তাহলে ভালো হবে। এটা আমাদের যু্ক্তি। ইভেনচুয়ালি কি হবে না হবে এটা এখনি বলা যাবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App