×

অর্থনীতি

আরো তিন বছর ক্রয় পদ্ধতিতে পণ্য কিনবে টিসিবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ০৬:২৬ পিএম

আরো তিন বছর ক্রয় পদ্ধতিতে পণ্য কিনবে টিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের ২৬ মে পর্যন্ত সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে অথবা স্থানীয়ভাবে পণ্য কিনতে পারবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি অথবা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা আগামী ২০২৩ সালের ২৬ মে পর্যন্ত তিন বছর বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শামসুল আরেফিন জানান, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, মসলা-শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সরাবিন তেল, পাম ওয়েল, চিনি, লবন (খাবার লবন, বিট লবণ ব্যতিত) আমদানি অথবা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা আগামী ২০২৩ সালের ২৬ মে পর্যন্ত তিন বছর বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে কিছু পণ্য আমদানি করতে হয়, যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল থাকে, মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়। সেজন্য গত কয়েক বছর যাবতই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (পিপিএ) ২০০৬ এর ৬৮ (১) ধারার আওতায় এসব পণ্য সরাসরি ক্রয় করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, টিসিবির এসব পণ্য ক্রয়ের জন্য একটা অনুমোদন আগে নিয়ে রাখতে হয়, পরে যখন ক্রয়ের প্রয়োজন হয় তখন পারচেজ কমিটিতে আসবে। কিন্তু অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) মাধ্যমে অনুমোদনটা নিয়ে রাখতে হয়। যাতে যখনই কিনবে তখনই অনুমোদনটা এ কমিটি দিতে পারে।

এছাড়া বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির জন্য চার দেশের চার কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করার লক্ষ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, জাপানের আটিওসিএইচইউ কর্পোরেশন, সিঙ্গাপুরের গুনভর সিঙ্গাপুর পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, দুবাইয়ের শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেপিং মিডিল ইস্ট লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্যের টোটাল গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড। এসব কোম্পানির সঙ্গে মাস্টার স্কেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব।

ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং পারচেজ কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে সভায়। পারচেজের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ১০টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। পারচেজ কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৬৩৫ কোটি ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩২ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এএফডি, ইআইবি এবং ডানিডা থেকে ঋণ ৪০৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৬ টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App