×

সারাদেশ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা, তদন্তের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ০৯:৪০ পিএম

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা, তদন্তের নির্দেশ

কিশোরগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও ১০ জন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৩২টি ভুয়া প্রকল্পের নামে ২১কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন গম আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) গাইবান্ধা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা দায়ের হয়। কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাইতর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রংপুর বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবি শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন মামলা দায়ের ও দুদককে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ ধারা এবং প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২০২১ অর্থ বছর পর্যন্ত দরিদ্র কর্মসূচির আওতায় ১৮টি, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ৪টি, ইউনিয়নের জন্য শতকরা ১ ভাগ বাবদ ২টি, টিআর ১৪টি মোট ৩৮টি প্রকল্পের নামে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১৩২টি প্রকল্পের নামে ২১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ টাকা এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন গম আত্মসাত করা হয়।

শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা অতি দরিদ্র কর্মসূচির আওতায় শ্রমিকদের নামের তালিকায় নিজস্ব লোকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করেছেন।

এসব কারণে কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের জাইতর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক বাদী হয়ে ইউপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও ১০ জন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার ১০ জন আসামি ইউপি সদস্য হলেন- মমতাজ আলী, মো. রেজাউল, মতলুবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, নওশা মিয়া, রঞ্জনা রাণী মহন্ত, অহেন্দ্র নাথ সরকার, সদস্যা এমিলি খাতুন ও মোছা. মেনেকা।

মামলার বাদী জিয়াউল হক পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে এই ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে না। একই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় একই দায়িত্বে থাকায় ইউনিয়নের কোনো উন্নয়নও হয়নি।

এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান তার পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেন। তাই জনস্বার্থে এই মামলা দায়ের করা হয়।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত কিশোর গাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, মামলার বিবরণে অর্থ আত্মসাতের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ এই মামলা দায়ের করেন।

 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App