×

জাতীয়

আওয়ামী লীগের হাত ধরেই সম্প্রীতির দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ১০:১০ এএম

আওয়ামী লীগের হাত ধরেই সম্প্রীতির দেশ

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

আওয়ামী লীগের হাত ধরেই সম্প্রীতির দেশ

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

৭২ বছর পূর্ণ হলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের। এই মাহেন্দ্রক্ষণে দলটি সম্পর্কে কী ভাবছেন সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ভোরের কাগজের কাছে এ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। লিখেছেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন।

বাঙালির অধিকার আদায়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। এর দেড় বছর পূর্বে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন আজকের ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ গঠনে নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি এই সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। সংগঠন শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখেন। তার লক্ষ্য ছিল পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙালিকে মুক্ত রাখা। বাঙালির অধিকার আদায় করা। তিনি সেটি করতে পেরেছেন। অসাম্প্রদাযিক চেতনা নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটির হাত ধরেই সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে।

৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বক্ষণে ভোরের কাগজের কাছে দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এভাবেই নিজের আবেগ-অনুভূতি তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের চলার পথ ও ছাত্রলীগের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে লেখক ভট্টাচার্য সম্পাদক বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়Ñ সবকিছুই ধাপে ধাপে আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দার্শনিক চিন্তা-চেতনার ফল আজকের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। বিশে^র প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ছে। সবকিছু অর্জিত হয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। ৭২ বছরের এই সংগঠনটির চলার পথ কখনোই মসৃণ ছিল না। অনেক বাধা-বিপত্তি পার হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। যতবারই আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছে, ততবারই আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছে। তার শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগে যত আঘাত এসেছে, তত আঘাত অন্যকোনো দলে আসেনি। এই সংগঠনে যত আঘাত এসেছে, সংগঠনটি ততই শক্তিশালী হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের এই চলার পথকে মসৃণ রাখতে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগের এই চলার পথ আরো অনেক অনেক দীর্ঘ হবে। আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে। বাঙালির আবেগ অনুভূতির সঙ্গে মিশে থাকা এই আওয়ামী লীগের আগামীর চলার পথকে ও মসৃণ রাখতে অতীতের মতোই সক্রিয় ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার ৪০ বছরের পথ চলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। জাতির পিতাকে হত্যার পর ৬টি বছর আওয়ামী লীগের জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিনতম সময়। ১৯৮১ সালে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরেন দেশরতœ শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যেমন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। দেশে ফিরে তার কন্যা শেখ হাসিনা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগকে গোছানোর কাজে আত্মনিয়োগ করেন। শুরু থেকে তিনিও প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছিলেন। ৫৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা ঘুরে ঘুরে সংগঠন গুছিয়েছেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন। ২০০৮ এর পর টানা প্রায় ১৩ বছর আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রক্ষমতায়। ক্ষমতার বাইরে যেমন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, ক্ষমতায় থাকার পরও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যে বাংলাদেশ গঠন করতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। আজকে সেই বাংলাদেশ তিনি গড়ছেন। বিশে^র সব সূচকই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখছি বড় বড় প্রকল্প দেশের উন্নয়নে জনগণের কল্যাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারিনি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কগুলোতে চার লেনে উন্নীতকরণসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলো আমাদের চোখের সামনে ভাসছে। আজকের বাংলাদেশ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল।? আজকের বাংলাদেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

আগামীর বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের পথ চলা সম্পর্কে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ভিশন-২০৪১ ও ২১০০ সালের জন্য যে ডেল্টা প্ল্যান নিয়েছেন। তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই ভিশন বাস্তবায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগ এই দেশ এবং দেশের মানুষের একমাত্র দল, মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে। আওয়ামী লীগও এদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে মিশে আছে। আমরা চাই দেশরতœ শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোক। তিনি আগামীর বাংলাদেশ দেশের জন্য তাদের যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিয়ে যাবেন। ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এই ভিশন বাস্তবায়ন এবং আওয়ামী লীগের চলার পথে সাহসী ভূমিকা রাখবে। ৭২ বছরে আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App