দেশের সকল জনগণকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে দেশেই টিকা উৎপাদনের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে দেশে কোভিট-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কীট ও মাস্ক বাবদ কত টাকা খরচ হয়েছে তা মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে কমিটি।

রবিবার (২০ জুন) সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির ৯ম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, আ.ফ.ম. রুহুল হক, আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর, রাহগির আলমাহি এরশাদ এবং মো. আমিরুল আলম মিলন অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় ভ্যাকসিন সংকট মোকাবিলায় কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সে সকল তথ্য জানতে মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে কোভিড-১৯ আরম্ভ হওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত কত টাকার মাস্ক ও কীট ক্রয় করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং জানতে চায় কমিটি।

অন্যদিকে ভ্যাকসিন জিটুজি নাকি এজেন্টের মাধ্যমে আনা হচ্ছে সেটা কমিটিকে বিস্তারিক জানাতে বলা হয়। তাছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আইসিউ ও অক্সিজেনের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাব্য সংকট থেকে উত্তরণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও কমিটিকে অবহিত করতে বলে কমিটি। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন কমিটির সভাপতি সেলিম। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ রকম একটি বৈঠক অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থাকবেন না, সেটা হয় না। তাকে আগামী বৈঠকে এসব বিষয়ে অবহিত হয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।

এদিকে তথ্য বিভ্রান্তি এড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া ও পর্যালোচনা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেয়ার জন্য অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়।

বৈঠকে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা’ সহজতর প্রক্রিয়ায় যাছাই বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে তাদের পরিবারের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেবার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।