×

জাতীয়

চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু: তিন হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ০১:৩৫ পিএম

চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু: তিন হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবহেলার কারণে মৃত্যু ও মরদেহ আটকে রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর তিন হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা হলেন, ল্যাবএইড হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন প্রফেসর ডা. আবদুল ওহাব খান ও বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী।

রবিবার (২০ জুন) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এ মামলা করেন ফিজিওথেরাপিস্ট আকতারুজ্জামান মিয়া নামে মৃতের বাবা। ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরির আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী আকতারুজ্জামান মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিক এনাম অসুস্থ হলে ৪ মে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইল শাখার ডা. আব্দুল ওহাব খানকে দেখান। এরপর তার অধীনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে রোগীর গলব্লাডারে পাথর হয়েছে। পরের দিন ৫ মে বাদীর ছেলেকে ডা. ওহাব অপারেশন করেন। ৬ মে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।

এরপর ৯ মে সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হলে ডা. ওহাব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জরুরি ভিত্তিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মামুন-আল-মাহতাব স্বপ্নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর ল্যাবএইড হাসপাতালের ডা. স্বপ্নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাদী। তিনিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখেন যে গলব্লাডার অপারেশনের সময় ভুল জায়গায় ক্লিপ লাগানো হয়েছে।

এরপর ডা. স্বপ্নীল জেনে শুনে বেশি টাকার জন্য ইআরসিপি উইথ স্ট্যাংটিং করে ব্যর্থ চেষ্টা করেন। যার কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। এরপর তিনি জরুরি ভিত্তিতে বিআরবি হাসপাতালের প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলীর কাছে পাঠান। ডা. ওহাব ও ডা.স্বপ্নীল দুইজনের পরস্পর যোগসাজশে অপর ডা. মোহাম্মদ আলী কাছে পাঠানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এরপর ডা. মোহাম্মদ আলী ১২ মে জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে বিআরবি হাসপাতাল ভর্তি করান। এরপর ডাক্তার মোহাম্মদ আলী রোগীর স্বজনদের বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। তার আগে যে দুইজন অপারেশন করেছেন সেখানে অবহেলা ছিল। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে অন্যথায় রোগীকে বাঁচানো যাবে না। এরপর ৩০ মে বাদীর ছেলেকে ডা. মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে বিআরবি হাসপাতালে অপারেশন করান।

প্রথমে বাদীকে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হবে বলে জানান। তিন ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করার পর আবারও চার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন বলে জানান ডা. মোহাম্মদ আলী। রক্ত না দিতে পারলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না। এরপর হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে টাকার আদায়ের বিষয়ে বাদীর স্বজনদের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে বাদী ছেলে ডা. তৌফিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবহেলার কারণে মৃত্যুবরণ করেন বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App