×

জাতীয়

বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই ফোন দেন পুলিশকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ০৪:১৩ পিএম

বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই ফোন দেন পুলিশকে

মেহজাবিন ইসলাম মুন।

বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই ফোন দেন পুলিশকে

বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড়। ছবি: ভোরের কাগজ

বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে মেহজাবিন নিজেই পুলিশকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। এমনকি পুলিশ দ্রুত না গেলে তার স্বামী ও সন্তানকে খুন করে ফেলার হুমকি দেন।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান রাজধানীর ওয়ারী জোনের ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে মেহজাবিনকে আটক করে এবং লাশ গুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

[caption id="attachment_291318" align="aligncenter" width="687"] নিহত মাসুদ রানা, মৌসুমী ইসলাম ও জান্নাতুল[/caption]

অভিযুক্তের স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শফিকুল ইসলাম অরণ্য বলেন, শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। মেহজাবিন উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করছিলেন। রাতে খাবার ও চা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মেয়ে তৃপ্তিও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

মেহজাবিনের চাচাতো বোন শিলা বলেন, মেহজাবিন তার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সে তার আগের ঘরের স্বামীকেও খুন করেছিল। সেই মামলায় মেহজাবিনসহ তার নিহত বাবা-মা ও বোনের জেল হয়েছিল। পাঁচ বছর জেল খেটে তারা জামিনে ছাড়া পায়।

[caption id="attachment_291321" align="aligncenter" width="1280"] বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড়। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

এর আগে সকালে রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার ২৮, লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়।

আহত অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার আগের ঘরের মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তিকে (৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশের ধারণা, শুক্রবার রাতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তিনজনকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

https://www.youtube.com/watch?v=CDWllVCdq7M

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App