পাগলা মসজিদের ৮টি সিন্দুকে মিলল ১২ বস্তা টাকা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ০১:০৯ পিএম
শনিবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করেন। ফাইল ছবি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সিন্দুকগুলো খোলা হয়। ৮টি সিন্দুক থেকে ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে টাকা গণনা।
বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে গণনা চলছে। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।
এর আগে, সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহিম ও মো. উবায়দুর রহমান শাহেল জানান, টাকা গোনা শেষ হতে বিকেল হয়ে যাবে। টাকা গোনা শেষ হলে হিসাব করে তা ব্যাংকে জমা রাখা হবে।
সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দান সিন্দুক খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ২২ আগস্ট ৬ মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান বাক্সে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।
গত বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর লকডাউনের সময়ে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়। নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনকার পরিস্থিতিতেও মসজিদটিতে মানুষ দান অব্যাহত রাখেন।