×

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে সি-ট্রাক চালু করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০৪:৪৯ পিএম

ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে সি-ট্রাক চালু করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ভোরের কাগজ

দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সি-ট্রাক চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গনে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চঘাটগুলোও দ্রুত মেরামত করা হবে। শুক্রবার (১৮ জুন) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, পানপট্টি, বদনাতলী, আউলিয়াপুর ও হাজিরহাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এ অঞ্চলের নৌপথের প্রকৃত অবস্থা দেখতে গত বৃহস্পতিবার থেকে পায়রাবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করছেন তিনি।স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম‍্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আব্দুল মতিন, প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মাঈদুল ইসলাম প্রমুখ তার সঙ্গে রয়েছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীভাঙ্গন এ অঞ্চলের মূল সমস‍্যা। বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে। মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সি-ট্রাক দেয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, ভাঙ্গণের ফলে অনেক লঞ্চঘাটে পন্টুন ও গ‍্যাংওয়ে সরে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ করা হবে। গলাচিপা লঞ্চঘাটে টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করে বন্দর সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গলাচিপা লঞ্চঘাটটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়। এটি রামনাবাদ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে একটি ডাবল ডেকার ও গলাচিপা থেকে রাঙ্গাবালী রুটে দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা-গলাচিপা নৌপথের দূরত্ব ২৭৪ কিলোমিটার। পানপট্টি লঞ্চঘাটটি ১৯৮৭ সালে চালু হয়। ঘাটটি গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। ঘাটটিতে একটি পন্টুন স্পাড ও জেটি নির্মাণ করা হলেও নদী ভাঙ্গনের কারণে জেটিটি নদীতের বিলীন হয় যায়। বর্তমানে ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে এবং নতুন করে একটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে গলাচিপা-রাঙ্গাবালী রুটে দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।

হাজিরহাট লঞ্চঘাটটি ২০০৪ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার সদরে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার দু’টি এবং দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে। বন্যাতলী লঞ্চঘাটটি ২০০৯ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার একটি এবং তিনটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।

আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটটি ২০১৯ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার একটি এবং দু'টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App