×

সারাদেশ

কুমিল্লায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০২:১৮ পিএম

কুমিল্লায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কানন ইউনিয়নের সুয়াগাজী এলাকায় ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। ছবি: ভোরের কাগজ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। শুক্রবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কানন ইউনিয়নের সুয়াগাজী এলাকায় বাসের ধাক্কায় একটি প্রাইভেটকারের তিন আরোহীর মৃত্যু হয় এবং ভোর সাড়ে ৬টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা থেকে অটোরিকশা দিয়ে হাড়িসর্দার যাওয়ার সময় একটি বাসের ধাক্কায় আটোরিকশায় থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, ঢাকার খিলগাঁও তালতলা এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মো. মিরাজ হোসেন (১৮), শেরপুরের নলিতাবাড়ী উপজেলার আবদুল মজিদের ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা ফখরুল আলম (৩৫) ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাড়িসর্দার এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে লামিয়া (৮)।

পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ৩টার দিকে সুয়াগাজি জোড়কানান ইউটার্নের মাথায় খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলি পরিবহনের বাস ও একই মুখী একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী। গুরুত্বর আহত আরও একজনকে ঢাকায় নেয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাহবুব নামে আরও একজন আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীর রয়েছেন।

কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরগামী প্রাইভেটকারটি ওই এলাকায় ইউটার্ন নেয়ার সময় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে মো. মিরাজ হোসেন ও বেলাল হোসেন মারা যান। পরে ঢাকা নেয়ার পথে ফখরুল আলমের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ।

এদিকে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা থেকে হাড়িসর্দার যাওয়ার সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় একটি অটোরিকশাকে বাস চাপা দেয়। এ সময় অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত ও এক শিশু নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশায় করে চালকসহ চারজন আমানগন্ডা থেকে হাড়িসর্দার যাচ্ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামগামী একটি বেপোরোয়া গতির বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে অটোরিকশা চালক, তার মেয়ে, লামিয়া ও তার দাদাসহ সবাই গুরুতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে লামিয়ার মৃত্যু হয়। চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানা পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App