×

জাতীয়

আর-এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০৫:২৯ পিএম

আর-এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক

এলএনজি। ফাইল ছবি

আর-এলএনজি সরবরাহের জন্য ভারতের হিরানন্দানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এইচ-এনার্জির সঙ্গে পেট্রোবাংলার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আন্তঃসীমান্ত সঞ্চালন লাইন বসিয়ে এইচ এনার্জি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশে ‘রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি’ সরবরাহ করবে। বুধবার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে এইচ-এনার্জি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এবং ভারতের গণসাধ্যমেও এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তবে এই এমওইউ এর বিষয়ে পেট্টোবাংলার তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আর-এলএনজির উৎস বের করে তা পেট্রোবাংলার কাছে সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে এইচ-এনার্জির মালিকানাধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এইচই মার্কেটিং। বাংলাদেশের ভেতরে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদক ও গ্যাসের অন্যান্য ভোক্তাদের কাছে আর-এলএনজি সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি পেট্রোবাংলা।

এইচ-এনার্জির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচ-এনার্জি ভারতের হিরানন্দানি গ্রুপের একটি কোম্পানি। পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ডের (পিএনজিআরবি) ভারতের একমাত্র কোম্পানি যারা বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। এই লাইন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সঞ্চালন লাইন বসিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সীমান্তকেও যুক্ত করবে এবং একই পাইপলাইন দিয়ে বাংলাদেশে ‘রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি’ সরবরাহের ব্যবস্থা করবে।

এইচ-এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দর্শন হিরানন্দানি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ভারত-বাংলাদেশ জ্বালানি সহযোগিতার ভবিষ্যত নির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ডের (পিএনজিআরবি) অনুমোদন নিয়ে এইচ-এনার্জি পশ্চিববঙ্গে তাদের এলএনজি টার্মিনালকে যুক্ত করে কানাই চাট্টা থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন লাইন বসাবে এবং পরিচালনা করবে। এখান থেকেই বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক গ্যাসকে উচ্চচাপে তরল করে সিলিন্ডার বা পাইপলাইনে সরবরাহের উপযোগী করা হলে তাকে এলএনজি বলা হয়। এই এলএনজিকে আবার গ্যাসে রূপান্তর করা হলে তাকে রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি বলে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App