×

সারাদেশ

মানিকগঞ্জে মরিচের কেজি ৫ টাকা, দিশেহারা কৃষক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ০২:২৩ পিএম

মানিকগঞ্জে মরিচের কেজি ৫ টাকা, দিশেহারা কৃষক

মরিচ সংরক্ষণে হিমাগার দাবি শিবালয়ের কৃষকদের। ছবি: ভোরের কাগজ

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কাঁচা মরিচের দর পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। মরিচ চাষিরা পাইকারি আড়তে ১ মণ মরিচ বিক্রি করছেন ২০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। অথচ একই মরিচ রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে দাম বেড়ে হয়ে যাচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। অর্থাৎ, মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ১৫ টাকায় ৩ কেজি মরিচ বিক্রি হলেও রাজধানীর ক্রেতারা বিভিন্ন বাজারে ১৫ টাকায় পাচ্ছেন মাত্র আড়াইশ গ্রাম। শিবালয়ের কৃষকদের দাবি, এ অঞ্চলের কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার প্রয়োজন।

এ অঞ্চলের মরিচগুলো স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এ বছর মরিচের দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে লোকসানের হিসেব গুনছেন প্রান্তিক চাষীরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর অনেক বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।

উপজেলার বরংগাইল আড়তে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসা ভৈরব পাইন বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। সময়মতো সার, কীটনাশক প্রয়োগ এবং পরিচর্যার ফলে এ বছর যথেষ্ট পরিমাণ ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে মরিচের চাহিদা না থাকায় আমরা হতাশার মধ্যে দিন পার করছি। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে ৫-৬ টাকা দরে। ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা বাবদ শ্রমিককে কেজি প্রতি দিতে হয় ৫ টাকা। বাজারে আনতে মণ প্রতি রিক্সাচালককে দিতে হয় ২০ টাকা। আমার নিজের পারিশ্রমিক দিনে ৫০০ টাকা। অথচ বাজারে নিয়ে ১ মণ মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা। এখন আমাদের নিরবে কান্না করা ছাড়া অন্য কোনো গতি নেই।

ঘিওর উপজেলার ধূলন্ডী গ্রামের ইউনুছ মোল্লা এবং শিবালয় উপজেলার দুবুলিয়া গ্রামের রহিজ উদ্দিনও একই রকম কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিদেশে রপ্তানি না করতে পেরে মরিচের বাজার নিম্নমুখী। তবে বর্ষা মৌসুম আসার কারণে মরিচের বাজার এখন একটু চাঙ্গা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App