ব্রেকিং |
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে বিআইডব্লিউটির উচ্ছেদ অভিযান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ১১:৫৮ এএম
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে বিআইডব্লিউটিএর অভিযান। ছবি: শাহাদৎ হাওলাদার
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ছবি: ভোরের কাগজ
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
[caption id="attachment_290580" align="aligncenter" width="1040"] উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]বুধবার (১৬ জুন) সকাল ১১টা থেকে আদি চ্যানেলে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিআইডব্লিউটির উচ্ছেদ অভিযান। এতে নেতৃত্ব দেন লালবাগ জোন রাজস্ব সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমান ও বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
[caption id="attachment_290578" align="alignnone" width="1280"] রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]ডিএসসিসির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয় সূত্র জানায়, কামরাঙ্গীরচরের লোহার সেতু এলাকা থেকে পশ্চিম রসুলপুরের হাজির ঘাট পর্যন্ত আদি চ্যানেলের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ডিএসসিসির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। লোহার সেতুর কয়েক শ মিটার পূর্ব-দক্ষিণে মূল বুড়িগঙ্গা নদী। দেখা যায়, এই কয়েক শ মিটারে পানি আছে। তবে আবর্জনায় ভরা। আর লোহার সেতু থেকে কালুনগর পর্যন্ত আদি চ্যানেলে পানি নেই। তলদেশে ঘাস-জংলি গাছ জন্মেছে। হেঁটে আদি চ্যানেল পারাপার হচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে লোহার সেতু, রসুলপুর, কালুনগর এলাকায় আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে। রসুলপুর, সেকশন, শহীদনগর, কালুনঘাট, হাজারীবাগ এলাকায় আদি চ্যানেলের ভেতরে ভাঙা বাড়ির ইট-সুরকি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এর মধ্যে রসুলপুরে ভরাট করা অনেক জায়গায় মালিকানার দাবিসংবলিত সাইনবোর্ড দেখা গেছে। এ ছাড়া রসুলপুর সেতুর দুপাশে শতাধিক অবৈধ দোকানপাট-টিনশেড ঘর তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর জানান, ২০ থেকে ২৫ বছর আগেও এই আদি চ্যানেলে বড় বড় নৌকা চলত। তারও এক যুগ আগে এই শাখা নদীতে গোসল করতেন মহল্লার লোকজন। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, নদীর দুপাশে দখলের পরিমাণ তত বাড়ছে। যে যেভাবে পারছে নদী ভরাট করে ভোগদখল করছে।