×

জাতীয়

মদ পরিবেশন না করায় কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর চালান পরী মনি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ০৮:২৪ পিএম

মদ পরিবেশন না করায় কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর চালান পরী মনি
মদ পরিবেশন না করায় কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর চালান পরী মনি

বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী রাত ১১টায় ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত প্রায় ১টার দিকে পরী মনি এক সদস্যের মাধ্যমে ক্লাবের বারে প্রবেশ করে মদ অর্ডার করেন। মদের একটি বোতল তার টেবিলেও দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েটাররা পরিবেশন করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন পরী মনি। এক পর্যায়ে ১৫টি গ্লাস, ৯টি স্ট্রে ও বেশ কিছু গ্লাস ভাঙচুর করে বেরিয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন।

বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ৮ জুন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরী মনির ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরেন।

[caption id="attachment_290723" align="aligncenter" width="687"] অল কমিউনিটি ক্লাবে প্রবেশ করছেন অভিনেত্রী পরী মনি। ছবি: সিসি টিভির ফুটেজ থেকে।[/caption]

তিনি বলেন, আমরা তাকে চিনতাম না, কোনোদিন দেখিনি। পড়ে একজনের কাছে শুনেছি ওনার নাম পরী মনি। ক্লাবের একজন সদস্যের রেফারেন্সে তিনি আসেন সেখানে। সেই সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আমরা এই মুহূর্তে কোনোভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি না। কারণ এতে আমাদের ক্লাবের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আমরা কোনো জিডি করিনি।

কে এম আলমগীর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাত ১১টায় ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতে ক্লাবের এক সদস্য সঙ্গে করে দুজন গেস্ট আনেন। ওই দুজন গেস্টের একজন জরুরী কাজ আছে জানিয়ে বাইরে যায়। পরে ওই গেস্ট সঙ্গে করে পরী মনি ও অপর এক পুরুষকে নিয়ে ক্লাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। ক্লাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু পরী মনিকে আনতে যাওয়া সেই গেস্ট বলতে থাকেন, ক্লাবের ভেতরে তার মোবাইল ও কাগজপত্র রয়ে গেছে। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা এডমিন প্রধান কে ফোন দেয়। এডমিন প্রধান আবার ক্লাবে উপস্থিত এক পরিচালক কে ফোন দেয়। সে সময় পরী মনি ও অপর দুজন আবার ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে একজনের হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পড়া থাকায় ড্রেসকোড মিলছে না জানিয়ে আবার আটকানো হয়। তবুও তারা ভেতরে প্রবেশ করে দোতলার বারে গিয়ে মদ অর্ডার করে। প্রায় রাত একটা বেজে যায় ওয়েটার মদ পরিবেশন করতে রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে পরিমনির টেবিলে এক বোতল মদ দেওয়া হলেও উপস্থিত ওয়েটাররা সেটি পরিবেশন করবে না বলে জানায় এবং তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে। এতে পরী মনি ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর শুরু করে।

ইকবাল বলেন, আমাদের ক্লাবের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অ্যাডমিন এবং ডিরেক্টর বেরিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি দেখেন। দেখে তারা পরী মনিকে বলেছেন, আপনি তো ক্লাব রুল ভায়োলেট করেছেন। আপনি তো এমন করতে পারেন না। তখন উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। উনাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদেরকে বলা হয়েছে চলে যেতে। উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে আমাদের পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান। তারপর যে সদস্য উনাদেরকে এনেছিলেন, উনিও তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে, ওই সদস্য নিজেও চলে যান। তারপর উনারা অকস্মাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং গ্লাস, অ্যাশট্রে ছুঁড়ে মারতে থাকেন।

[caption id="attachment_290724" align="aligncenter" width="687"] বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তিনি জানান,  ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তারা পুলিশ কল করেন। পুলিশ আসার পরে দেখতে পায়, উনি এগুলো ছুঁড়ে মারছেন। তখন পুলিশ জিজ্ঞেস করে, কেন কল করেছেন। উনারা বলেন যে, আমাদের সঙ্গে এই হয়েছে সেই হয়েছে। পুলিশ সদস্যরাই বলেন যে, এরকম কিছু তো আমরা দেখছি না। তখন কেউ ছিল না, দুইজন ওয়েটার ছিল, আর উনারা ৩ জন ছিলেন। তারপর পুলিশ ভাইয়েরা ওয়্যারলেসে ওপরের মহলে জানতে চায়- আমরা কী করবো। তখন ওপরের থেকে নির্দেশ আসে, উনারা এরকম করতে থাকলে, তাদেরকে বের করে দিয়ে চলে যান। আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী, শোকজ করেছি এবং এটার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

https://www.youtube.com/watch?v=LRoxvQNVRxk&t=15s  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App